ইডটকো গ্রুপ একটি এন্ড টু এন্ড সমন্বিত টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামো সার্ভিস কোম্পানি ও জাস এনার্জি সার্ভিসেস (জেডইএস) আজ বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মেথানল নির্ভর ফুয়েল সেল নিয়ে আসার ঘোষণা দিল। লিকুইড মেথানল ফুয়েল সেল সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে এবং আরও দক্ষতার সাথে পরিচালিত হয়ে শব্দ দূষণ ও পরিবেশ দূষণ হ্রাস করবে। এছাড়াও এই সমাধান ডিজেল জেনারেটরের জন্য একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে সাইট- এ নির্ভরযোগ্য শক্তি হিসেবে কাজ করে।
এই নতুন সমাধানের সুবিধাগুলো হচ্ছেঃ
• ফুয়েল সেলগুলো কম কার্বন নির্গমন নিশ্চিত করে। • স্থানীয়ভাবে পাওয়া পরিবেশ বান্ধব বিকল্প জ্বালানী হিসেবে মিথানল পানির সঙ্গে মিশ্রিত • নিরাপদ ও সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কিছু নেই • ডিজেল জেনারেটর (ডিজি) তুলনায় কম ফুটপ্রিন্ট প্রয়োজন হয় • মাসিক খরচ ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ডিজির তুলনায় কম • নির্ভরযোগ্য ও প্রাপ্যতার পরিমাণ বেশি • মিথানল কোন ব্যবহারে না আসার কারণে ফুয়েল (ডিজেল) চুরির সমস্যা কোন প্রভাব ফেলবে না • ফুয়েল সেল হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ খুব সহজ এবং সাধারন
জাস টেলিকম (লিমিটেড) (জেডইএস) বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি যেটি মিথানল ফুয়েল সেল ভিত্তিক পাওয়ার সিস্টেমগুলি বাণিজ্যিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল। এই সিস্টেমগুলি ৬ মাসের ট্রায়ালের জন্য ইডটকো বাংলাদেশের সাইটগুলোতে অংশীদারিত্বে স্থাপন করা হয়েছে।
ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল চৌধুরি বলেছেন, “বাংলাদেশে বিশেষভাবে গ্রীষ্মে লোড শেডিং বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) পরিসেবাটিকে প্রভাবিত করে। ডিজেল জেনারেটর কার্বন নির্গমন এবং শব্দ দূষণ তৈরি করে।
ইডটকো তার ক্রমাগত উদ্ভাবন এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে কম কার্বন নির্গমন নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতি আমাদের উন্নত সেবা মান নিশ্চিত করে, একই সাথে পরিবেশগত নিরাপত্তা এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে”।
জাসের সিইও তৌফিক মালেক বলেছেন, “মিশন এবং ডাটা ক্রিটিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন ডিভাইসগুলি যেমন সার্ভেলেন্স সিস্টেম, সেন্সর, ডিটেক্টর, পাম্প, কম্প্রেসার, যোগাযোগ ও টেলিকম, সিগন্যালিং এবং আরও অনেক কিছুর জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন সংস্থা এবং উদ্যোগসমূহে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল সরবরাহ করা হয়।
আমরা নির্বাচিত ২২০ওয়াট, ৩কিলোওয়াট, ৫কিলোওয়াট এবং ১০কিলোওয়াট ‘আউটডোর রেডি&; ফুয়েল সেল প্রদান করি। এই সিস্টেমসমূহ শব্দহীন, পরিবেশ বান্ধব, কম রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, এবং নির্গমন এবং দূষণ মুক্ত। মেথানল জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হবে, যা স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায় এটি সবুজ এবং ডিজেল ও অক্টেনের মত জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির মূল্যের ঊর্ধ্বগতির তুলনায় স্বাধীন
ইডটকো গ্রুপ সম্পর্কে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইডটকো গ্রুপ এশিয়াতে প্রথম আঞ্চলিক ও সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো পরিসেবা সংস্থা। টাওয়ার সার্ভিসিং সেক্টরে টাওয়ার লিজিং, সহ-অবস্থান, বিল্ড-টু-স্যুট, শক্তি, ট্রান্সমিশন এবং অপারেশন ও মেইনটেনেন্সে এন্ড-টু-এন্ড সমাধান প্রদান এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে।
ইডটকো গ্রুপ মালয়েশিয়া, মায়ানমার, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান এর মূল বাজারে ২৯,৫০০ টাওয়ারের মধ্যে ১৭ হাজার টাওয়ার সরাসরি পরিচালনা করে এবং আরো ১১,৫০০ টাওয়ার সরবরাহ করা পরিসেবাগুলির মাধ্যমে পরিচালনা করে। ইডটকো টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা এবং সমাধানে অসামান্য কর্মক্ষমতা প্রদান করার চেষ্টা করে। এটির অত্যাধুনিক রিয়েল- টাইম মনিটরিং পরিসেবা, ইকো কর্মক্ষেত্রের কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য উন্নতি এনেছে এবং টেলিযোগাযোগের অবকাঠামোর জন্য ব্যাটারি, জ্বালানি ও জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা সর্বাধিক বৃদ্ধি করেছে। ইডটকো গ্রুপকে সম্প্রতি ফ্রস্ট ও সালিভান ২০১৯ এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকম টাওয়ার কোম্পানি অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে ।
জাস টেলিকম লিঃ সম্পর্কে জাস টেলিকম বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে সংযুক্ত টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম বিক্রেতা। টেলিকমিউনিকেশন মার্কেটে ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানিটি ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং ৮ টিরও বেশি বিখ্যাত গ্রাহক সেবা করার প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। এর গ্রাহক বেসগুলির মধ্যে রয়েছে স্থায়ী ও মোবাইল টেলিকম অপারেটর, সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং পাবলিক এবং প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ।
কোম্পানির হেডকোয়ার্টারের অবস্থান ঢাকায়। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও যশোরে ছয়টি জোনাল অফিস রয়েছে। ৩০০ এর বেশি দক্ষ ব্যক্তি নিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।