ইডিজিই প্রকল্প এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দেশের আইটি কোম্পানিগুলো কর্তৃক চাকরিতে নিয়োগদানের পর ২০ হাজার তরুণ–তরুণীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), রোবোটিক্স, ব্লকচেইনের মতো বিকাশমান প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্দেশ্যে সরকার চালু করেছে ‘হায়ার অ্যান্ড ট্রেইন’ প্রোগ্রাম।
কোম্পানি কর্তৃক বিকাশমান প্রযুক্তিতে জনবলের চাহিদা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগদানের পর এই প্রশিক্ষণে আর্থিক সহায়তা দেবে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প।
এ প্রশিক্ষণের বাস্তবায়নের পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর বিশ^ব্যাংকের অর্থায়িত ইডিজিই প্রকল্প এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং আইআইটি’র পরিচালক ড. মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইডিজিই প্রকল্পের উপদেষ্টা সামি আহমেদ, আইআইটির অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন, ইডিজিই উপ–প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুল আলম খান, ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমির টিম লিডার ড. মাহফুজ শামীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
‘হায়ার অ্যান্ড ট্রেইন’ প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, এটি একটি পরিক্ষীত ও কার্যকর প্রশিক্ষণ মডেল। ইতোপূর্বে লিভারেজিং আইসিটি প্রকল্পে এ মডেলে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের চাকুরি হয়েছে।
অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইডিজিই প্রকল্প এআই, আইওটি, বøকচেইন, বিগডেটার মতো অগ্রসর প্রযুক্তিতে ২০ হাজার তরুণ–তরুণীকে প্রশিক্ষণ দিবে, যা দেশের আইসিটি খাতের বিকাশে সহযোগিতা করবে।