TechJano

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের ১৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভা

বাংলাদেশের ব্যবসা-বানিজ্য কে সুদূরপ্রসারী পথে এগিয়ে নিতে আইবিএফবি যে মেধাভিত্তিক কাজ করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়- ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)-এর ১৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় মাননীয় বানিজ্য মন্ত্রী জনাব টিপু মুন্সি প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে একথা বলেন।
আজ ২৫ই জুলাই ২০১৯ ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত আইবিএফবি-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন যে, চীন-আমেরিকা বৈরিতার কারনে আমাদের ব্যবসা-বানিজ্যে সুফল আসবে বলে প্রতিয়মান হয়। এ সুফল কাজে লাগানোর জন্য আইবিএফবি ব্যবসায়ীদেরকে উৎসাহিত করবে এ আশাবাদ তিনি ব্যক্ত করেন । ব্যবসা প্রসারের জন্য যা কিছুর প্রয়োজন সরকার তা করছে এবং করবে। তিনি ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে একসঙ্গে কাজ করা আহ্বান জানান।
সম্মেলনের বক্তা হিসেবে ড: এম এ রাজ্জাক, গবেষণা পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ তার বক্তব্য উপস্থাাপন করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে এফবসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, জনাব জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, পিএইচডি, আবাসিক প্রোগ্রাম পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউটে এবং জিয়িরি গিগৌরি, মিশনের প্রধান, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) তাদের মূল্যবান ভাষণ দিয়েছেন।
আইবিএফবির প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে বলেন আইবিএফবি একটি অলাভজনক এবং অ-রাজনৈতিক ব্যবসা ফোরাম যা সারা দেশে এবং বিদেশে ব্যবসা নেতাদের সমৃদ্ধ ও জ্ঞান ভিত্তিক ব্যক্তি সহ গঠিত। আইবিএফবি একটি গবেষণা এবং এডভোকেসি ভিত্তিক দেশব্যাপী বাণিজ্য সংস্থা যা দেশের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। অতীতে, আইবিএফবি বিভিন্ন ক্রসকুটিং ব্যবসায় এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন, বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের দ্বারা বিদেশী বিনিয়োগ, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, আয়কর আইনের জটিলতা এবং এর সরলীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে ত্রিশ (৩০) টি গবেষণা ও এডভোকেসি কাজ করেছে । আইবিএফবি ভুটান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, আমেরিকা, কোরিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। ২০১২ সালে চট্টগ্রামে আইবিএফবির প্রথম শাখা অফিস প্রতিষ্ঠা করে। আমরা দেশের অন্যান্য মহানগর শহরে এবং বিদেশেও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে আরও শাখা অফিস স্থাপন করার জন্য উন্মুখ। বেসরকারি খাতকে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইবিএফবি ৮ শতাংশেরও বেশি হার অর্জনের জন্য জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতের বিনিযয়োগকে অত্যন্ত মূল্যবান বলে মনে করে, যদিও তা অসম্ভব। গত বছরের এফডিআই বৃদ্ধির ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রমাণিত হয়েছে।

বৈশ্বিক সাপ্লাই শৃঙ্খলে প্রবেশের জন্য প্রবাহ ও নিম্ন প্রান্তে উল্লম্বভাবে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশকে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রয়োজন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশি বিনিয়োগে আইবিএফবি ব্যাপক সমীক্ষা করেছিল এবং সরকারী নীতিনির্ধারকদের সাথে ভাগ করে নিয়েছে। আইবিএফবি আনন্দিত যে সরকার নীতি গ্রহণ করেছে এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৭-এ বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের শর্তাধীন বৈদেশিক বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে ব্যবসায়ের বিভিন্ন উৎসগুলিতে বিদেশী বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়ার জন্য আরও বেশি নমনীয় হওয়া উচিত। আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি যে এখন বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের বৈধভাবে এবং সহজেই বিদেশে বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়ার প্রধান সময় এসেছে আনুষ্ঠানিকভাবে মূলধন ফ্লাইট হ্রাস করা। এটি আমাদের কোম্পানিকে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে, আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের দক্ষতা ব্যবহার করবে, সারা বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে মুনাফা এবং ব্র্যান্ড বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আইবিএফবির ২০১৯-২০২১ মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের ৪জন পরিচালক নির্বাচন করা হয়।

জনাব আনোয়ার শহীদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শিমেক্স ইন্টারন্যাশনাল লি:, মিসেস তৌহিদা সুলতানা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অ্যাডভান্স হোমস প্রা: লিমিটেড, জনাব সৈয়দ এনামুল হক মুরাদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক,সানিয়ান ফ্যাশনস লি: এবং ইঞ্জিনিয়ার মো: হাসান মাহমুদ বাবু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক,অ্যাগ্রো ইন্টারন্যাশনাল ও কনসালটেন্টস লি: প্রথমবারের মতো আইবিএফবি’র পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক নির্বাচিত হন।

মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী , ব্যবস্থাপনা পরিচালক,লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লি:, জনাব আজিজুল হক, পরিচালক, মেসার্স আজিজুল হক, মো: মজিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক,রানার তেল ও গ্যাস লি: এবং
জনাব মো: সিরাজুল ইসলাম ভরোশা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক,শিরাজ ভরোশা গ্রুপ আইবিএফবি এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে পুনর্র্নিবাচিত হন।

# সংবাদ বিজ্ঞপ্তি #

Exit mobile version