সংবাদ সম্মেলন করে ইভ্যালি গ্রাহকদের টাকা দেওয়া নিয়ে কথা বলেছেন ইভ্যাকির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী ও ইভ্যালির বর্তনান দায়িত্বে থাকা শামীমা নাসরিন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেছেন,
আমাদের দেনা কত সেটার সঠিক সংখ্যা অবশ্যই বলা সম্ভব, তবে সেটা সার্ভার রিকোভারি এর উপর এখন নির্ভরশীল এবং কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
আপনাদের দেনা পরিশোধ কখন থেকে শুরু হবে এবং কতদিন লাগবে ?
আমাদের দেনা পরিশোধ করতে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিনিয়োগ। একটি যথাযথ পরিমানে বিনিয়োগের কোন বিকল্প নেই। মূলত আমাদের লক্ষ্য ছিল ইভ্যালিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পর আমরা দেশি। বিদেশি বিনিয়োগ নিবা আমরা চেয়েছিলাম বিদেশি বিনিয়োগ কম ভ্যালুয়েশনে না আসুকা কম ভ্যালুয়েশনে শেয়ার হস্তান্তর মূলত দেশীয় সম্পদের জন্য একটি বিরাট ক্ষতি৷ বাংলাদেশের এমন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে বিদেশি মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগকারী এখানে অর্থ বিনিয়োগ করলেও প্রাপ্ত মুনাফা তারা এই দেশ থেকে তাদের দেশে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেট সাইজ অনুযায়ী, ইভ্যালি মাল্টি বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ তোলার সক্ষমতা রাখে। বর্তমানে ইভ্যালিতে বিনিয়োগ পেতে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিজনেস করে বিনিয়োগকারীদের এটাকে একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উপস্থাপন করা।
আমরা এই যাত্রায় প্রথম দিন থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইভ্যালিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরার যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা মনে করি আগামী ১ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারলে প্রথম বিনিয়োগ থেকেই সকল দেনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
তাহলে কি গ্রাহক এই সময় পূর্বের কোন অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি পাবে না?
– দেখুন, আমাদের গোডাউনে প্রায় ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এই পণ্য দিয়ে অতীতের সকল দায় মেটানো প্রায় অসম্ভব। তবে এইটুকু পণ্য দিয়ে যতটা সুষম বন্টন সম্ভব সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে পণ্যগুলো সার্ভার অন করার সাথে সাথে ডেলিভারি করা হবে। এই বিষয়ে আমরা মহামান্য হাইকোর্ট এবং বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবা এই পণ্য গ্রাহকদের৷ তাই গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যেই এগুলো ব্যবহৃত হবে। অবশ্যই প্রত্যেকটি সম্মানিত গ্রাহকের অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
আপনাদের কি কি ভুল ছিল? একই ভুল যে আবার করবেন না, সেটির নিশ্চয়তা কি?
– দেখুন, আমরা এই দেশের সন্তান। আমাদের স্বপ্ন ছিল চায়নার জ্যাক মা এর মত। যদি সে ঐ সময় ইবে কে পিছনে ফেলে।
ব্যবসায়িক কৌশল দিয়ে পৃথিবীর বুকে আলিবাবাকে একটি গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তবে
আমরা কেন পারব না? সেই একই লক্ষ্যে আমাদের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালকআইবিএ থেকে এমবিএ কমপ্লিট করে দীর্ঘ
৭ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জনের পর ই-কমার্স বিজনেস শুরু করেন। আমাদের ইকমার্স বিজনেস শুরুর প্রধান লক্ষ্যই
ছিল পণ্য বিক্রয়ে পরিচালন ব্যয় কমিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণীয় হলো সর্বোত্তম সেবা প্রদান করা। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল সঠিক সময়ে বিনিয়োগ উত্তেজনা করা গ্রাহক ও বিক্রেতাদের পাওনা দিয়ে ব্যবসা কে গড়ে তোলা৷ 5 of 8 তবে এখানে কোন প্রতারণা ছিল না এটা সবার বুঝতে হবে। আপনারা বাড়ি করার জন্য অগ্রিম অর্থ দেন। এখন ডেভেলপার আপনাকে সঠিক সময়ে সেই বাড়ি বুঝিয়ে দিতে না পারলে সেটা অন্যায়। তবে এই বিজনেসকে অন্যায় বলা সঠিক নয়।