করোনায় বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম চালুর করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসির এনআইডি অনুবিভাগ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যায়। সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে- বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগমপূর্ণ কার্যক্রমগুলো স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক সম্পন্ন করা দুরূহ। এ পরিপ্রেক্ষিতে মুদ্রিত/সংরক্ষিত স্মার্টকার্ড কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুচারুভাবে বিতরণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সচিব মো. আলমগীর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ওয়েবসাইটে নির্ধারিত পোর্টালের যারা স্মার্টকার্ড নিতে আগ্রহী তাদের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে শুরু স্মার্টকার্ড দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করতে হবে। একই সময়ে বেশি লোকসমাগম এড়াতে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে স্বল্পসংখ্যক লোক জড়ো করে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে এনআইডি শাখার পরিচালক মো. আবদুল বাতেন বলেছেন, স্মার্টকার্ড বিতরণ ছাড়া কোনো কার্যক্রম আমাদের বন্ধ নেই। এমনি করোনার সময় যখন অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল তখনো আমরা সেবা দিয়েছি। বর্তমানে সব সেবাই অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্টকার্ড বিতরণও সীমিত আকারে শুরু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শিগগিরই সেবাটি চালু করা হবে।
এদিকে প্লাস্টিক এনআইডির পরিবর্তে বর্তমানে লেমিনেটিং করা এনআইডি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির এনআইডি অনুবিভাগের কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট মোহাম্মদ শফিক।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৬ কোটি ১ লাখ স্মার্টকার্ড উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। মোট বিতরণ হয়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার কার্ড। এছাড়া ১ কোটি ২ লাখ ফাঁকা কার্ডে তথ্য সন্নিবেশ করার কাজ চলছে। এই কার্ডগুলো অর্থাৎ ৭ কোটি ৩ লাখ কার্ড ফরাসি কোম্পানির কাছ থেকে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।