গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়েছেন ইয়াসির আজমান।
গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ইয়াসির আজমানকে ১লা ফেব্রয়ারি ২০২০ থেকে সিইও হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে।
সিইও হিসাবে নিযুক্ত হবার আগে আজমান ২০১৫ সালের জুন থেকে গ্রামীণফোনের সিএমও এবং ২০১৭ সালের মে থেকে ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে আজমান টেলিনর গ্রুপ এর বিতরণ এবং ই-বিজনেস বিভাগের প্রধান এবং টেলিনরের হয়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আজমান বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলির স্থলাভিশিক্ত হবেন। মাইকেল আফ্রিকায় তার পরিবারের কাছে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
“ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই আজকের অবস্থানে এসেছেন। আমি অনেক আনন্দিত যে আজমান আমাদের বাংলাদেশী অপারেশন এর নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে গ্রামীণফোনের সিইও হচ্ছেন। এটি টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের সকলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসাবে আজমান টেলিনর গ্রুপ এর সব থেকে বাণিজ্যিকভাবে সফল অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন। আমি বিশ্বাস করি আজমান সিইও হিসাবেও তার নতুন চ্যালেঞ্জে একইভাবে সফল হবেন,” বলেছেন গ্রামীণফোন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ।
মাইকেল ফোলি ২০১৭ সালে মে মাস থেকে গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে টেলিনর পাকিস্তান ও বুলগেরিয়ার সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফারবার্গ আরও বলেন, “ মাইকেলের নেতৃত্বে গ্রামীণফোন মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করেছে এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে। আমি টেলিনর ও গ্রামীণফোনের জন্য তার বিশেষ অবদান কে ধন্যবাদ দিতে চাই।”
ইয়াসির আজমান বলেন, “গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে বিকশিত করতে আমাদের এই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অত্যন্ত কার্যকরী। আমি আমাদের ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহকের আস্থাকে সম্মান জানাই। সেইসাথে আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আর সেবার মাধ্যমে তাদেরকে আরও উন্নত সেবা দিয়ে যেতে চাই।”
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরিবর্তন ১লা ফেব্রুয়ারী ২০২০ থেকে কার্যকর হবে।