ই-কমার্স

ই-কমার্সে বিশাল সম্ভাবনা আছে: শমী কায়সার

By Baadshah

April 05, 2018

ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার ই-কমার্স সপ্তাহ ও ই-কমার্স দিবস উদযাপনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বাণিজ্য থেকে ই-বাণিজ্য’-এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন ই-কমার্সে বিশাল সম্ভাবনা আছে। আপনি কি ই-কমার্স ব্যবসার ভবিষ্যৎ বুঝতে পারছেন? বাংলাদেশে দারুণ সম্ভাবনাময় খাত এটি। বাংলাদেশ দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসার আরও বাড়বে। ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখ বিকেল ৩.০০ হতে ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের কাঙ্খিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের মতো পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এবারেও ই-ক্যাব কর্তৃক আগামী ০৭ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে ‘ই-কমার্স দিবস’ এবং ০৭-১৩ এপ্রিল ‘ই-কমার্স সপ্তাহ’ উদযাপন করার লক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় । ই-ক্যাবের ৭২১টি সদস্য কোম্পানিসহ সারা দেশের ই-কমার্সসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের এ উদযাপনে যোগদানের কথা রয়েছে বলে ই-ক্যাব উপস্থিত সবাইকে অবহিত করে। সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল উল্লিখিত ই-কমার্স সপ্তাহ ও ই-কমার্স দিবস উদযাপনের পটভূমি ও মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বাণিজ্য থেকে ই-বাণিজ্য’-এর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ই-কমার্স খাতের বিকাশ ও প্রসারে দেশের প্রায় ৭০ লাখ নিবন্ধিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যবসায় রূপান্তর এখন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন। ই-ক্যাবে প্রতিনিধিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, উল্লিখিত আয়োজন দেশের ই-কমার্স খাতের বিকাশ এবং এ বিষয়ে প্রচারণা ও প্রসারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা সারা দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে তাদের ব্যবসায় ই-বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করতে উৎসাহিত করবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, উল্লিখিত ই-কমার্স সপ্তাহ ও ই-কমার্স দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এসএসএল কমার্সের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক সহযোগিতায় আগামী ০৭ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে (শনিবার) বিকেল ৫.০০ ঘটিকায় আইসিটি বিভাগের বিসিসি অডিটোরিয়াম, আইসিটি টাওয়ার, আগারগাঁওয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিনিধিদের এ অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা রয়েছে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ই-কমার্স উন্নয়নবিষয়ক নানাবিধ গঠনমূলক দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। শুরু থেকেই ই-ক্যাব দেশের ই-কমার্স খাতের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত ও ত্বরান্বিতকরণে সরকারের সাথে একযোগে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশন সদস্যদের সার্বজনীন স্বার্থ সমন্বয় ও অগ্রগায়ন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট সবার সাথে একযোগে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে ই-কমার্স খাতের কাঙ্খিত উন্নয়ন বেগবান করতে ও সারা দেশে ই-কমার্সবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ই-ক্যাবের এ আয়োজন সফল করতে ই-কমার্স উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদেরকে যোগদান করার জন্য ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে আন্তরিক আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া শমী কায়সার, সভাপতি, ই-ক্যাব এবং আলী আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ট্রেনিং এবং গবেষণার জন্য এক স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেছেন। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: ই-ক্যাব হলো দেশের একমাত্র বেসরকারি ই-কমার্সবিষয়ক অ্যাসোসিয়েশন, যা ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিসেবে তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকারের পরামর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের প্রভূত উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে সমসাময়িক বিশ্বব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার বৃহত্তর লক্ষ্যসামনে রেখে ২০১৫ সালে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যাত্রা শুরু হয়েছিল। শুরু থেকেই দেশের ই-কমার্স খাতের প্রভূত উন্নয়নের স্বার্থে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। ই-ক্যাব ইতোমধ্যে একটি যুগোপযোগী জাতীয় ই-কমার্স নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকারকে সাথে নিয়ে জাতীয় ই-কমার্স নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে এবং তা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ই-ক্যাব মূলত অ্যাসোসিয়েশন সদস্যদের সার্বজনীন স্বার্থ সমন্বয় ও অগ্রগায়ন, বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করায় সরকারকে উৎসাহিত করা, দেশ-বিদেশে ই-কমার্সভিত্তিক বিভিন্ন প্রচারণা ও প্রসারমূলক কর্মকাণ্ড- যেমন কর্মশালা, সেমিনার, কনফারেন্স, সামিট, ই-বাণিজ্য মেলা ইত্যাদি আয়োজনে সরকার ও সংগঠনের সদস্য ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান, ই-কমার্সের বিষয়ভিত্তিক বিবিধ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ, ই-কমার্স খাতের সার্বিক উন্নয়নে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে গবেষণা করা।