ই-কমার্সের জন্মই জীবনকে সহজ করার জন্য। অনলাইনের এই যুগে মানুষের ক্রয় আচরণ পাল্টে যাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে এই প্রবণতা বহু আগেই শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হচ্ছিল ই-কমার্স। আর কোভিড-১৯ আসার পর ই-কমার্সের প্রয়োজন বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। আবার ই-কমার্স সাইটে লেনদেনও এখন অনেক সহজ। সমীক্ষা মতে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আনুমানিক ২৫০০ ই-কমার্স সাইট রয়েছে। ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগ রয়েছে দেড় লাখের বেশি। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন লক্ষাধিক পণ্যের অর্ডার ও ডেলিভারি হচ্ছে।
ই-কমার্স খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বর্তমানে প্রায় ৭৫%। খাতটির আকার ৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সাল নাগাদ এ খাতের আকার ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ইকমার্স খাত আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক পরিণত। কিন্তু দেশের আর দশটা খাতের তুলনায়, কিংবা বহিবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগোতে পারছে কি এই খাত?
ইকমার্স এর প্রতি সরকারের এত পৃষ্ঠপোষকতা, ইকমার্স পরিবারে অজস্র ভাল উদ্যোক্তা- তাহলে কেন হবে না একটি ক্ষুদ্র-মাঝারী-উদ্যোক্তা-বান্ধব ইকমার্স-এর পরিবেশ। এই প্রশ্নের সমাধানে, ইকমার্স খাতের উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে ই-কমার্স খাতের কয়েকজন উদ্যোক্তা এক হয়ে শুরু করেছে ‘দ্য চেঞ্জ মেকারস ২০২২’ প্লাটফর্ম।
উদ্যোক্তাদের একজন বিপ্লব ঘোষ রাহুল বলেন, আমরা ই-কমার্স খাতকে প্রকৃতভাবে ব্যবসায়ী বান্ধব এবং ই-কমার্স ইকো সিস্টেম তৈরিতে উদ্যোগতাদের সকল প্রকার সাপোর্ট নিশ্চিত করতে চাই।
অন্য আরেকজন উদ্যোক্তা আদনান ইমতিয়াজ হালিম বলেন, কাস্টমারের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো আমাদের প্রধান কাজ এবং একইসাথে সরকারের সাথে নীতিমালা বাস্তবায়নে সঠিক নির্দেশিকা দিয়ে বাস্তবসম্পন্ন নীতিমালা তৈরিতে কাজ করা।