দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন বেচাকেনা। এই ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ভার্চুয়াল জগতে পণ্য ব্যবসা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি জমেছে। ক্রেতা আকর্ষণে নানা অফার আর ছাড় ছিল ঈদকে সামনে রেখে। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে ছিল বাড়তি ক্রেতা আনাগোনা। উদ্যোক্তারা বলছেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এবার ঈদের মাসে বিক্রি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
কর্মীরা বলছেন, অন্য সময়ের তুলনায় এবারের ঈদে অনলাইনে অর্ডার হয়েছে অনেক বেশি। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি, পাজামা আর মেয়েদের পোশাকের মধ্যে বেশি বিক্রি হয়েছে শাড়ি। বিক্রিতে নতুন সূচনা হয়েছে গৃহস্থালি ও নিত্য পণ্যের বিক্রির। ছিল মূল্যছাড়সহ নানা অফারের পসরা।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) সূত্র জানায়, সময় বাঁচাতে এবং সহজে বেচাকেনার সুযোগ খোঁজেন এমন ব্যক্তিরাই অনলাইন শপিং বেশি করেন। ই-ক্যাব বলছে, বছরের মোট বিক্রির প্রায় ১৫ শতাংশ হয়েছে শুধু রোজার মাসে। এবারের ঈদে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে অনলাইন শপগুলোতে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এ ক্রয়-বিক্রয় বেশ সহজ এবং তৃণমূলেও ছড়িয়ে গেছে।
ভোক্তার আস্থা, জবাবদিহি আর পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে শহরের গণ্ডি পেরিয়ে অনলাইন কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।