করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে এখাতের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপগুলো বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাসহ দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। দেশ ও দেশের বাইরে দেশের ব্র্যান্ডিংও তৈরি করছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। এ পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে বাংলাদেশের অন্যতম আইটি প্রতিষ্ঠান উইডেভসের একই দিনে ৩০ জন কর্মীকে ছাটাইয়ের তথ্য। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েকমাস ধরেই ধাপে ধাপে কর্মী ছাটাই করে চলেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, এমন সফল প্রতিষ্ঠান থেকে হুট করে কর্মী ছাটাই স্টার্টআপ খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষ কর্মীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা গেলে তারা স্টার্টআপে যুক্ত হতে চাইবেন না। দেশের ব্র্যান্ডিং খারাপ হবে। তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোগের সংগে যুক্ত একধিক উদ্যোক্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তির চিত্র এখন ভিন্ন। দেশেই নানা সুযোগ ও দক্ষ কর্মী পাওয়া যায়। কিন্তু দেশের কিছু উদ্যোক্তা বিদেশমুখী। তারা দেশে সফলতা পেলেও তা ভুলে বিদেশের সফলতা দেখাতে শুরু করেন। দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান। জানা গেছে, করোনাকালে একাধিক পণ্য ও সেবাসহ ব্যবসার সম্প্রসারণ করে ও কর্মী নিয়োগ দেয় উইডেভস। ১০০ জনের বেশি কর্মী নিয়োগ করে তারা। কিন্তু অভ্যন্তরীন সূত্র জানায়, দেশকে প্রাধান্য না দিয়ে প্ৰতিষ্ঠানটির সঙ্কটনাপুর্ন অবস্থায় কর্ণধারদের দুজন বাংলাদেশ ছেড়ে তুরস্কে থাকা শুরু করেন। কর্মীদের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি গুঞ্জন ছিল যে, উদ্যোক্তার হয়ত ক্রমশ রুগ্ন হয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচানোর জন্য যে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন তা নেবেন না। এর মধ্যেই জুলাই মাসের শেষ দিনে একই সাথে ৩০ জন কর্মীর ছাটাইয়ের ঘটনাটি সামনে আসে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক কর্মী প্রতিষ্ঠানটির রুগ্ন পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, উইডেভসের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারন নেই। আইটি খাতে দুযোগ হিসেবে একে কেউ দেখানোর চেষ্টা করলে সেটা ভুল হিসেবে ধরতে হবে। উইডেভসেট এ ঘটনা ইন্ডাস্ট্রির প্রতিফলন নয়। এটা উদ্যোক্তাদের আগ্রহের অভাব ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যথতা।এই ঘটনা বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য কোন অশুভ বার্তা দিচ্ছে না, কিন্তু অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।