তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সমস্যা সমাধানে দেশীয় উদ্ভাবন আমাদের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান পূরণের সহায়তা করছে উল্লেখ করে বলেন উন্নত অর্থনীতির দেশ গড়তে হলে উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাতে চিফ টেকনোলজি অফিসারদের সংগঠন(সিটিও) ফোরামের উদ্যোগে “ইনোভেশন সেন্টার ” উদ্বোধন উপলক্ষে জুম অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। আমাজনের সহযোগিতায় এ ইনোভেশন সেন্টারটি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ।
পলক বলেন ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনী প্রজন্ম গড়ে তুলতে ইনোভেশন সেন্টার খুবই প্রয়োজন।তিনি বলেন ক্লাউড, এআই, ব্লকচেইনসহ নতুন নতুন ডিজরাপটিব প্রযুক্তি শিখতে এই উদ্যোগ তরুণদের দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী সিটিও ফোরামকে ফিজিক্যাল ইনোভেশন সেন্টার গড়ে তুলতে হাইটেক পার্কে জায়গা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞান ভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সিটিও ফোরামের সদস্য সহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি বিজয় দিবসের সূবর্ণ জয়ন্তীতে ইনোভেশন সেন্টার থেকে প্রাপ্ত আইডিয়া থেকে হ্যাকাথন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানান । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং সিটিও ফোরামের সহ-সভাপতি বিকর্ণ কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অডিও ভিজুয়াল উপস্থাপনার মাধ্যমে ইনোভেশন সেন্টারের কার্যক্রম তুলে ধরেন সি টি ও ফোরামে যুগ্ন সচিব এবং ইউসিবিএল ব্যাংক-এর ডিএমডি আবদুল্লাহ আল মামুন।
সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, ইনোভেশন সেন্টার এর টেকনিক্যাল লিড, ও বাংলালিংক এর আই টি ডিরেক্টর সোহাইল রেজা, পূবালী ব্যাংকের সিওও মোহাম্মাদ আলী এবং আমাজন ওয়েব সার্ভিস-এর এশিয়া প্যাসেফিক সলিউশন আর্কিটেক্ট ডিপার্টমেন্ট প্রধান মাহাদি উজ জামান।
ইনোভেশন সেন্টারের ট্রেনিং প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষণার্থী ছাড়াও সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ কার্যনীর্বাহি সদস্য ও ফেলো সদস্যরাও অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিভার্সাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন।