বিশেষ প্রতিবেদন

উবার বাংলাদেশের ৪র্থ শহর হিসেবে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাত্রা শুরু করলো 

By Baadshah

February 14, 2020

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অন-ডিম্যান্ড রাইডশেয়ারিং কোম্পানি উবার, আজ পর্যটকদের শহর কক্সবাজারে যাত্রা শুরু করলো। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর কক্সবাজার বাংলাদেশের ৪র্থ শহর যেখানে এখন থেকে উবার ব্যবহার করা যাবে। যাত্রীরা উবার অ্যাপ ডাউনলোড করার মাধ্যমে উবার এক্সএল এবং মটো সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন।

যাত্রীদের সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য যাতায়াত ব্যবস্থা এবং চালকদের জন্য পর্যাপ্ত উপার্জন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কক্সবাজারে যাত্রা শুরু করেছে উবার।

উবারের বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের প্রধান রাতুল ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্রে আমাদের যাত্রা শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ইনানী বা রামু, এখন শহরবাসী ও পর্যটকরা যাতায়াতের জন্য সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে উবার বেছে নিতে পারবেন। আর চালকেরা পাবেন স্বাধীনভাবে কাজ করার ও পর্যাপ্ত উপার্জনের সুযোগ। ২০১৯ সালে ৭৬টি দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশে উবার ব্যবহার করেছেন। আমরা এই নতুন শহরের সম্ভাবনার ব্যাপারে আশাবাদী এবং তার সাথে আমরা এটিও আশা করছি যে শহরবাসী এবং পর্যটকেরা আমাদের সাদরে গ্রহণ করবেন।”

ট্রিপের আগে, ট্রিপ চলাকালীন সময়ে এবং ট্রিপ শেষ হওয়ার পরে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উবারের বেশ কিছু সেফটি প্রোডাক্ট রয়েছে। যাত্রীদের সরাসরি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যুক্ত করে দেয়ার জন্য রয়েছে একটি ইমার্জেন্সি নম্বর, ইন-অ্যাপ সেফটি টুলকিট এবং একটি কমিউনিটি গাইডলাইন যা পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখতে অ্যাপে চালক ও যাত্রীদের প্রত্যাশিত আচরণের ধারণা দেয়। এছাড়াও উবারের রয়েছে একটি সার্বক্ষণিক সেফটি রেসপন্স টিম এবং একটি ল’ এনফোর্সমেন্ট রেসপন্স টিম, যারা যাত্রা পরবর্তী সময়ে চালক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবসময় কাজ করে যায় এবং যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে সহায়তা করে থাকে।

যেভাবে উবার ব্যবহার করবেন:

উবার সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন – উবার এক্সএল | উবার মটো

উবার সম্পর্কিত তথ্য

সচলতার মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করাই উবারের লক্ষ্য। আপনি কীভাবে বাটনের এক চাপে যাতায়াতের জন্য একটি গাড়ি পেতে পারেন? এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে আমাদের শুরুটা হয় ২০১০ সালে। ১০ বিলিয়নেরও বেশি ট্রিপ সম্পন্ন করার পর, এখন আমরা সেসব সার্ভিস তৈরির প্রচেষ্টায় নিয়োজিত যেগুলো একজন ব্যক্তিকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা, খাদ্য এবং জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে উবার সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।