TechJano

এআই-নির্ভর রূপান্তর: পিআই ওয়ার্কসের সহায়তায় দক্ষতা বাড়াচ্ছে বাংলালিংক

উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক এনার্জি দক্ষতা বাড়াতে ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে পিআই ওয়ার্কসের প্রিডিক্টিভ এনার্জি সেভিং (পিইএস) মডিউল যা সেলফ-অর্গানাইজিং নেটওয়ার্ক (এসওএন) সমন্বিত প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে।

পিআই ওয়ার্কসের এআই সমাধানের মাধ্যমে নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রকৌশল) সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)/মেশিন লার্নিং (এমএল) ব্যবহার করছে বাংলালিংক।
এই উদ্ভাবনী পিইএস মডিউল কম ব্যবহৃত ক্যারিয়ারগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে এনার্জি (জ্বালানি) খরচ কমাতে সাহায্য করে। সমন্বিত এসওএন ফিচারের মাধ্যমে মানবীয় ত্রুটি কমিয়ে আনার পাশাপাশি, নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে বাংলালিংক, যা ব্যবহারকারীর জন্য সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

এই এআই-চালিত পদ্ধতি বাংলালিংকের এআই ১৪৪০ কৌশলের অংশ; যার লক্ষ্য প্রতিদিনের ১৪৪০ মিনিট সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগানো। বাংলালিংক অপারেশনাল দক্ষতা বাড়াতে, খরচ কমাতে ও পরিবেশের ওপর প্রভাব কমিয়ে আনতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে ব্যবহার করছে। একইসাথে, এটি গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।

এআই/এমএল-সমৃদ্ধ স্বয়ংক্রিয় এই ইঞ্জিনটি মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সুবিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ, প্রক্রিয়া ও বিশ্লেষণ করতে পারে; যা একদম সঠিক সময়ে যথাযথ ও মানসম্মত সেবা (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

সমাধান প্রদানকারী ইকোসিস্টেমে পিআই ওয়ার্কস বৈশ্বিকভাবে সমাদৃত। ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন রকম বাজারের উপযোগী কাস্টমাইজড সমাধান নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটি।

লো ইউসেজের (কম ব্যবহার) সময়ে স্বল্প ব্যবহৃত ক্যারিয়ারগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে জ্বালানি ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলালিংক।

২০২৪ সালের মে মাসে বাস্তবায়নের পর থেকে, বাংলালিংক সফলভাবে এর সাড়ে ১৫ হাজার বেইজ স্টেশনে এসওএন সমাধান ব্যবহার করছে এবং কোটি কোটি ডেটা পয়েন্ট থেকে প্রক্রিয়াজাত করে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার ফলে নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্সে কোনোধরনের প্রভাব পড়া ছাড়াই সেবার মান উল্লেখযোগ্য হারে উন্নত হয়েছে; পাশাপাশি, জ্বালানি ব্যবহারও কমে এসেছে। এতে করে অ্যাপ্লিকেবল সেলের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত পারফরম্যান্স উন্নত করেছে বাংলালিংক; একইসাথে, নেটওয়ার্ক স্কেলে জ্বালানির ব্যবহার ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে।

এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন তুর্কার বলেন, “টেলিকম খাতে এআই-চালিত উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে পরিবর্তন আনতে বাংলালিংক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পিআই ওয়ার্কসের এআই-সক্ষম সেলফ-অর্গানাইজড নেটওয়ার্ক টুলগুলোর সাহায্যে আমরা নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সহজ করেছি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপারেশনাল দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছি।

সর্বাধুনিক এআই অ্যালগরিদম একীভূত করার মধ্য দিয়ে আমরা রিয়েল-টাইম নেটওয়ার্ক রিসোর্স অপ্টিমাইজেশন ও ডায়নামিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অর্জন করেছি, যা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ ও উন্নত গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করেছে। এই উদ্যোগ আমাদের এআই ১৪৪০ কৌশলের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা অপারেশনাল খরচ কমাতে ও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক প্রোমোটার স্কোর বাড়াতে সাহায্য করেছে। আগামী দিনে আমরা নতুন উদ্ভাবনী ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, গ্রাহকদের অনবদ্য সেবা প্রদান করা এবং সবুজ (গ্রিন) ভবিষ্যতের জন্য টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

পিআই ওয়ার্কসের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাসার আকপিনার বলেন, “বাংলালিংকের টেকসই নেটওয়ার্ক অপারেশনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।

আমাদের সমাধান কেবল নেটওয়ার্কের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে না; পাশাপাশি, কার্বন নিঃসরণ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা বাংলাদেশের জন্য টেকসই আগামী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

বাংলালিংক সম্পর্কে:
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক দেশের মানুষের ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ‘ডিজিটাল ফর অল’ লক্ষ্য নিয়ে গ্রাহকদের জন্য বিস্তৃত পরিসরে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলালিংকের সেবার পোর্টফোলিওতে রয়েছে: টেলকো-অ্যাগনোস্টিক সুপার অ্যাপ মাইবিএল, বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি ও দেশের প্রথম এআই-নির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাকেজ রাইজ। নাসডাকের তালিকাভুক্ত বৈশ্বিক ডিজিটাল অপারেটর ভিওন লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ আগামী নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

Exit mobile version