অমর একুশে বই মেলায় বুকটক এক্সপিরিয়েন্স সেন্টার চালু করেছে টিকটক। বইপ্রেমীদের একটি দারুণ অভিজ্ঞতা দিতে এবং বই পড়ার প্রতি সকলকে উৎসাহী করে তুলতে #বইমেলা হ্যাশট্যাগের এই উদ্যোগটি নেয় টিকটক।
বইমেলায় টিকটকের এই সেন্টারটি রয়েছে ৯১৮ নম্বর স্টলে। সেন্টারটিতে টিকটকের #বুকটক নামে রয়েছে একটি বুক কর্নার।
মূলত হ্যাশট্যাগ বুকটক হলো টিকটক প্ল্যাটফর্মে এমন একটি কমিউনিটি এবং জায়গা যেখানে বই পড়া, লেখা এবং এই সম্পর্কিত কনটেন্ট তৈরি করে থাকে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
কনটেন্টের মাধ্যমে #বুকটক কমিউনিটি যে বইগুলো টিকটকে তুলে ধরেছে, সেই বইগুলো রাখা হয়েছে এই বুক কর্নারে।
টিকটক প্ল্যাটফর্মে যেই গল্প এবং লেখকদের নিয়ে অনেক আলোচনা এবং ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে সেই বইগুলো সম্পর্কে এখানে জানতে পারছে বইপ্রেমীরা।
বই রিভিউ, লেখার টিপস, জনপ্রিয় উপন্যাসগুলো সম্পর্কে জানা যাবে টিকটকের এই স্টলে।
এছাড়া, টিকটক ব্র্যান্ডের নানান ম্যাটেরিয়াল এবং কিউআর কোডগুলো ব্যবহার করে টিকটক অ্যাপের হ্যাশট্যাগ বুকটক এবং হ্যাশট্যাগ বইমেলার কনটেন্টগুলো দেখা যাবে এখানে।
কিউআর কোডের সাথে কাস্টমাইজ করা বুকমার্কগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন বইয়ের উপর রিভিউ নিয়েও জানা যাচ্ছে টিকটক অ্যাপে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী বই মেলার সাথে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এমন সংযোগ বইপ্রেমীদের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
একুশে বই মেলায় হ্যাশট্যাগ বুকটক এবং হ্যাশট্যাগ বইমেলার ক্যাম্পেইন বইপ্রেমীদের সাহিত্যিক বিষয়বস্তু সৃষ্টি করতে উৎসাহিত করে। এই দুটি হ্যাশট্যাগে বেশ কিছু ট্রেন্ড রয়েছে যার মধ্যে ‘টপ থ্রি বুকস ইউ হেভ টু রিড’ এবং ‘ডিআইওয়াই বুকমার্কস (বাটারফ্লাই)’ অন্যতম।
এছাড়াও শীর্ষ বইপ্রেমীদের অ্যাকাউন্টগুলোর সাথে ইউজারদের যুক্ত করে টিকটক। বই পড়তে উৎসাহ যোগায় এই অ্যাকাউন্টগুলো যেখানে কিনা টিকটক ইউজাররা প্রশ্ন-উত্তর বা কিউঅ্যান্ডএ ফিচার ব্যবহার করে নিজের পছন্দের কোনো বই নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারে।
২০২০ সাল থেকে হ্যাশট্যাগ বুকটক কমিউনিটির শুরু হয়। তবে ঐ বছরের মার্চ মাস থেকে বুকটকের কনটেন্টগুলোর প্রতি ইউজারদের আগ্রহ বেশি দেখা যায়।
বিনোদন এবং হ্যাশট্যাগ বুকটক এর রিকমেন্ডেশনগুলোর জন্য টিকটক ব্যবহার করতে দেখা যায়। এ পর্যন্ত বুকটক কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে ২৮.৯ মিলিয়নেরও বেশি পোস্ট করা হয়েছে টিকটকে।