এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে নতুন ফাঁদে পড়ছেন গ্রাহকরা। ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনায় প্রতারণার অভিযোগ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন এ ফাঁদে পড়লে আপনার টাকাও চলে যেতে পারে অন্যের পকেটে। বৃহস্পতিবার বন্ধনা দাস নামের এক তরুণী চব্বিশ পরগনার হেলেঞ্চা বাজারের ইউনাইটেড ব্যাংকের একটি এটিএম থেকে টাকা তুলতে যান। এটিএমে কার্ড সোয়াইপ করে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কিন্তু টাকা বের হয়নি। এ দিকে মেশিনের ক্যানসেল বোতামটিও কাজ করছে না। পরে বেরিয়ে যান তিনি। পরে তিনি দেখেন, তার অ্যাকাউন্ট থেকেই ১০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তিন যুবককে এটিএমএর আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। বন্ধনা দাস বের হয়ে গেলেই তিন যুবক এটিএম এ ঢুকে একটি ডেবিট কার্ড ওই মেশিনেই ঢোকায়। তারা বন্ধনা দাসের টাকা নিয়ে চলে যায়। শুক্রবারও একইভাবে ওই এটিএমএর ক্যানসেল বোতামে আঠা লাগিয়ে তা অকেজো করে দেয় ওই প্রতারকরা। এক ব্যক্তিকে টাকা তুলে দেওয়ার নাম করে সাহায্য করতে যায় তারা। তখনই তাদের চিনতে পেরে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এর পরে অভিযুক্তদের বাগদা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, আঠা লাগিয়ে আগে থেকেই এটিএমএর ক্যানসেল বোতামটি অকেজো করে রাখত প্রতারকরা। যারা এটিএমএ টাকা তোলায় তেমন পারদর্শী নয় বেছে বেছে তাদেরকেই নিশানা করত এই প্রতারকের দল। টাকা তুলতে সাহায্যের নামেও চলত প্রতারণা। এটিএমে এসে যখন কেউ টাকা তোলার চেষ্টা করতেন তখন লেনদেনের একেবারে শেষ মুহূর্তে এটিএমএ ঢুকে পড়ত প্রতারকরা। এসেই নিজেদের কার্ড মেশিনে ঢুকিয়ে দিত তারা। অথচ কোনও পিন নম্বর দিত না। আগের যে গ্রাহক টাকা তোলার চেষ্টা করছিলেন তার টাকা মেশিন থেকে বেরিয়ে আসত। কিন্তু এটিএমএ যেখান থেকে টাকা বেরোয় সেখানে একটি বিশেষ প্যানেল লাগিয়ে মুখ আটকে রাখত প্রতারকরা। ফলে যিনি টাকা তুলছিলেন তিনি তা দেখতে পেতেন না। এদিকে ক্যানসেল বোতাম টিপলেও তা কাজ করত না। টাকা বেরোয়নি ভেবে গ্রাহক চলে যেতেই এটিএমএ পড়ে থাকা টাকা তুলে নিয়ে চলে যেত প্রতারকরা।