প্রিমো এফ৭এস দেশে তৈরি ওয়ালটনের চতুর্থ ফোন। এর দাম অবিশ্বাস্য কম। কিন্তু কেন আর কিই বা আছে এতে? জেনে নিন ওয়ালটন প্রিমো এফ৭এস সম্পর্কে। ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এলো বাংলাদেশে তৈরি চতুর্থ স্মার্টফোন। যার মডেল ‘প্রিমো এফ৭এস’। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড এবং রিটেইল আউটলেটে মিলছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত স্মার্টফোনটি। যার মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ২৯৯ টাকা। ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন ডিভিশন (মার্কেটিং) প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান, ‘প্রিমো এফ৭এস’ স্মার্টফোনটি তৈরি হয়েছে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায়। আকর্ষণীয় ডিজাইনের ফোনটি কালো ও সোনালি এই দুই রঙে বাজারে ছাড়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে তৈরি এই স্মার্টফোনে ক্রেতারা পাবেন বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন ক্রয়ের ৩০ দিনের মধ্যে যেকোনো ধরনের ত্রুটিতে সাথে সাথে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন ক্রেতা। তাছাড়া, স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা তো থাকছেই। ওয়ালটন সূত্রে জানা যায়, ‘প্রিমো এফ৭এস’ মডেলের স্মার্টফোনটির পর্দা ৫ দশমিক ২ ইঞ্চির। ডিসপ্লেতে ব্যবহৃত হয়েছে ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস। ১৬ মিলিয়ন কালার সাপোর্টেড পর্দায় ছবি বা ভিডিও দেখা, গেম খেলা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে মিলবে আনন্দময় অভিজ্ঞতা। নতুন এই ফোনের উচ্চগতি নিশ্চিতে আছে ১.৩ গিগাহার্জের কোয়াডকোর প্রসেসর। রয়েছে ১ গিগাবাইট র্যাম। প্রাণবন্ত ভিডিও ও গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে গ্রাফিক্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে মালি-৪০০। প্রয়োজনীয় ফাইল সংরক্ষণে রয়েছে ৮ গিগাবাইট স্টোরেজ। যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ৬৪ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এই স্মার্টফোনের উভয় প্রান্তে রয়েছে বিএসআই সেন্সরযুক্ত ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। উভয় ক্যামেরায় এলইডি ফ্ল্যাশ থাকায় অল্প আলো বা অন্ধকারে স্পষ্ট ছবি বা সেলফি তোলা সম্ভব হবে। ক্যামেরায় নরমাল মোড ছাড়াও প্রফেশনাল, ফেস বিউটি, প্যানোরমা, এইচডিআর, নাইট মোডে ছবি তোলা যাবে। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফেস ডিটেকশন, ডিজিটাল জুম, সেলফ টাইমার, অটো-ফোকাস, কন্টিনিউয়াস ফোকাস, টাচ-ফোকাস ইত্যাদি। উভয় ক্যামেরায় ধারণ করা যাবে ফুল এইচডি ভিডিও। অ্যান্ড্রয়েড নূগাট ৭.০ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত স্মার্টফোনটির প্রয়োজনীয় পাওয়ার ব্যাক-আপের জন্য রয়েছে ২২৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-আয়ন ব্যাটারি। আছে মাল্টি-উইন্ডো প্রযুক্তি। ফলে একই সঙ্গে ডিসপ্লেতে একাধিক অ্যাপস ব্যবহার করা যাবে। থ্রিজি সাপোর্টেড ফোনটিতে একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে দুটি সিম। মেমোরি কার্ডের জন্য রয়েছে আলাদা স্লট। কানেক্টিভিটির জন্য আছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪, ল্যান হটস্পট, ওটিএ ও মাইক্রো ইউএসবি২ সুবিধা। সেন্সর হিসেবে রয়েছে জিপিএস, এ-জিপিএস নেভিগেশন, প্রোক্সিমিটি, এক্সিলারোমিটার (থ্রিডি), গ্রাভিটি (থ্রিডি) ইত্যাদি। মাল্টিমিডিয়া ফিচার হিসেবে আছে ফুল এইচডি ভিডিও প্লে-ব্যাক ও রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও। উল্লেখ্য, দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা এবং ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটে ০% ইন্টারেস্টে ৬ মাসের ইএমআই সুবিধায় কেনা যায় সব মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন। একই সঙ্গে ১২ মাসের কিস্তি সুবিধায়ও কেনার সুযোগ থাকছে। সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য রয়েছে দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্ক।