হুজুগে বাঙালি একেই বলে। একটা কিছু কেউ করে সফল হলে সবাই সেটাকে কপি করতে ছুটে আসে। ভালো মন্দর বিচার পরে। রাইড শেয়ারিং এর পর এবার পেছনে লেগেছে পার্কিং অ্যাপের। পাঠাও এর জনপ্রিয়তা দেখে কতগুলো অ্যাপ হল।! পরিণামে কি হল? মাঠ খারাপ। এখন তো কেউ ঠিকমতো চলছেই না। অথচ সম্ভাবনাময় খাতটি নিয়ে উদ্যোক্তাদের লাফালাফি। এবার শুরু হয়েছে পার্কিং অ্যাপ নিয়ে। গত কয়েক দিনে চালু হয়েছে কয়েকটি পার্কিং অ্যাপ। অনেকেই বলবেন, ভালো তো। কিন্তু শুধু নামে উদ্যোক্তা হয়ে , ফান্ড বাগিয়ে লাভ কি? যদি মানুষের কাজের উপযোগী না হয়? তবে উদ্যোক্তারা নিশ্চয়ই ভালো করতে চাইবেন। কিন্তু মানুষকে সচেতন না করে শুধু অ্যাপ আনলেই কি কাজ হবে?
চলুন জেনে আসি গত কয়েকদিনে পার্কিং খাতে কয়টি অ্যাপ এল:
মাই পার্কিং
ঢাকার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় পার্কিংয়ের ব্যাপারে। রাজধানীতে গাড়ির তুলনায় পার্কিংয়ের জায়গা কম, সবাই রাস্তায় গাড়ি রাখে। আর এ প্রচেষ্টার নাম মাই পার্কিং। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পড়াশোনা শেষে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ারের উচ্চতর শিখরে পৌঁছে অন্যরকম স্বপ্ন বুনতে শুরু করলেন দুই বন্ধু। তবে এ স্বপ্ন শুধু নিজেদের নিয়ে নয় বরং পুরো দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষকে নিয়ে। নিজেদের বিভিন্ন সমস্যা
তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান করতে চান, আর এ জন্যই তাদের প্রতিষ্ঠানের নামটিও একটু ভিন্ন, ডিজিটাল ট্রি। দুজনের নিজের গাড়ি আছে এবং সেই গাড়ি নিজেরাই চালান। এ কারণে মাঝে মধ্যে গাড়ি নিয়ে কিছু সমস্যারও মুখোমুখি হতে হয়। নিজেরাই সেই সমস্যার সমাধানও বের করেন। ঢাকার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় পার্কিং নিয়ে। কারণ ঢাকায় গাড়ির তুলনায় পার্কিং কম হওয়ায় সবাই রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে রাখে। গাড়িটি রেখেছেন সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যানজটের কারণে পুলিশ জরিমানা করতে পারে। বাংলাদেশে এমন একটি প্ল্যাটফরম হবে যেখানে গাড়ির মালিক ও পার্কিং মালিকের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা যাবে। এই লক্ষ্যে ডিজিটাল ট্রি-এর কো-ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান শিকদার আখতার-উজ-জামান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মির্জা সাফফাত অহিদ ২০১৬ সাল থেকে শুরু করেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক প্রচেষ্টা, যার নাম myparking. শিকদার আখতারুজ্জামান বলেন, আপনি যেমন আপনার গন্তব্যে নিরাপদে আপনার প্রিয় গাড়ি টি পার্ক করতে পারবেন আবার আপনার নিজের বাড়ির পার্কিং যখন ফাঁকা থাকে সেটিকে ভাড়া দিয়ে আয়ও করতে পারেন। অতিরিক্ত টাকা আর এর মাধ্যমে আপনিও অংশ নিতে পারেন যানজট মুক্ত শহর গড়তে। আপনার পছন্দের গাড়ি নিয়ে জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন। শুধু পার্কিংয়ের সমস্যা মাটি করে দিতে পারে আপনার সব আনন্দ। এ সমস্যা মেটাতেই আসছে মাই পার্কিং অ্যাপ। হাতের মুঠোয় শহরের পার্কিংয়ের সব খবর পাবেন অ্যাপে। মাই পার্কিং দিয়ে আমরা নতুন শহরের পরিকল্পনা করছি। এ জন্য কোথায় গাড়ি পার্ক করার সুযোগ আছে জানাবে মাই পার্কিং অ্যাপ। আপনার কতক্ষণের জন্য পার্কিং প্রয়োজন জানাতে হবে। অনলাইনেই হয়ে যাবে বিল পেমেন্ট। এই অ্যাপ জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করবে। ডিজিটাল ট্রি-এর উদ্যোক্তারা বলছেন, খুব শিগগির মাই পার্কিং অ্যাপস গুগল প্লে স্টোর এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের সেবা পাওয়া যাবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমাদের গ্রাহকেরা বিভিন্ন লোকেশনে প্রায় ১০ হাজার পার্কিং পয়েন্টে তাদের গাড়িটি নিরাপদে রাখতে পারবেন।মাই পার্কিং নামক অ্যাপটি আপনার স্মার্টফোনে ডাউনলোড করলেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন এলাকায় যে কোনো জায়গায় পার্কিং সম্পর্কিত আপডেট পাবেন। কোথাও যাওয়ার আগেই জানতে পারবেন সেখানে পার্কিংয়ের জায়গা খালি আছে কি না। স্কুল, অফিস, হাসপাতাল, শপিংমল সহ আপনার কাঙ্ক্ষিত জায়গার আসে পাশে আগে থেকেই পার্কিং স্লট বুক করে রাখা যাবে। ‘মাই পার্কিং’ অ্যাপে প্রথমে নিজের গাড়ি এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অ্যাপে দেখা যাবে কোথায় কোথায় পার্কিং রয়েছে। চালক প্রয়োজনীয় পার্কিংয়ের জায়গা বেছে নিয়ে তাতে ক্লিক করলে সেই পার্কিং লটে জায়গা ফাঁকা আছে কিনা জানা যাবে। পার্কিং দিতে আগ্রহীরা info@myparking. biz mailto: info@myparking. biz অথবা ০১৯৪০৮৮৮৯৯৯ ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
পার্কিং কই পার্কিং সমস্যার সমাধানে এল পার্কিং কই? এটি মূলত অ্যাপভিত্তিক গাড়ি পার্কিং সেবা।পার্কিংকই মূলত বাংলাদেশ বিশেষ করে ঢাকার পার্কিং সমস্যা ।ঢাকায় পার্কিং পাওয়া অনেম কষ্টের। মানুষ তার শখের গাড়ি নিরাপদ জায়গায় পার্ক করতে পারবে পার্কিং কই আপ্লিকেশন এর মাধ্যমে। বাংলদেশের প্রায় ২০-৩০% যানযট হয় অবৈধ পার্কিং এর কারনে পার্কিংকই আপ্লিকেশন এর মাধ্যমে এই সমস্যা অনেখানি কমে আসবে। আপনি আপনার পার্কিং স্পেস ভাড়া দিতে চান। তাহলে খুব সহজেই আপনি পার্কিং কই এ সাইন আপ করে আপনার প্লেসটি এড করে নিন এবং ইনকাম করুন। পার্কিং কই কর্তৃপক্ষ আপনার প্লেসটি ভেরিফাই করে এক্সেপ্ট করবে । আপনি যদি পার্কিং চান তাহলে যেকোন এলকায় গিয়ে অ্যাপ চালু করে ৫ কি.মি এর মধ্যে সব পার্কিং প্লেস খুজে পাবেন এবং ডিরেকশন এর মাধ্যমে যেতে পারবেন গাড়ি পার্ক করতে । আপনার স্টার্ট পার্ক থেকে স্টপ পার্ক সব অ্যাপ্লিকেশন এ হবে এবং আপনি নিরাপদে কোন ঝামেলা ছাড়া কম খরচে গাড়ি পার্ক করতে পারবেন।
নেক্সপার্ক নেক্সপার্ক এসে গেছে। ঢাকার রাস্তায় গাড়ির মালিকদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় গাড়ি পার্কিং নিয়ে। আপনার বাসা হয়তো ধানমন্ডিতে আর অফিস মতিঝিলে। তবে অফিস বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গুলশান গিয়েছেন গাড়ি নিয়ে তখন আপনার গাড়িটি কোথায় পার্কিং করবেন? নেক্সপার্ক আছে না? কোথায় পার্কিং করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সবাই একটু বিব্রত হবেন। কারণ ঢাকায় গাড়ির তুলনায় পার্কিং কম হওয়ায় সবাই রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে রাখে। আর আপনার গাড়িতে আলাদা ড্রাইভার না থাকলে গাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তার পরিমান আরো একটু বেশি। কারণ আপনি যেখানে গাড়িটি রেখেছেন সেখানে কোন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, যানজটের কারণে পুলিশ জরিমানা করতে পারে। নেক্সপার্ক সব সমস্যার সমাধান। যত্রতত্র পার্কিংয়ের ফলে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট। ঢাকার যানজটের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি পার্কিং না করা। আর নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং না করার অন্যতম বাধা দুইটি। প্রথমত পার্কিং সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকা এবং দ্বিতীয়ত পর্যাপ্ত পার্কিং স্পট না থাকা।ঢাকার রাস্তার যানজট সমাধানে অর্থাৎ পার্কিং সল্যুশন নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে কাজ করছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নেক্সপার্ক (www.nexparc.com)। নেক্সপার্ক টিম বলছে, ঢাকার সবচেয়ে বেশি পার্কিং অনিয়ম দেখা যায়: গুলশান ১, গুলশান ২, মতিঝিল, কাকরাইল, ধানমন্ডি, গ্রীনরোড, সাত মসজিদ রোড, পান্থপথ, মিরপুর ১, ২, ১০, পল্লবী, মোহাম্মদপুর ও উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর। এসব জায়গায় যেসব সময় যত্রতত্র পার্কিং হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো স্কুল শুরু ও শেষ সময়, অফিসের শুরু এবং শেষ সময়, কেনাকাটার সময়, চিকিৎসক পরিদর্শনের সময়, পার্টি সেন্টারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় ইত্যাদি। ঢাকার পার্কিংয়ের এসব সমস্যার সমাধানের জন্য সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে নেক্সপার্ক টীম তৈরি করেছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নেক্সপার্ক। এটি বাংলাদেশের প্রথম পার্কিং শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দ মত স্থানে পার্কিং বাছাই করে সেখানে পার্কিং করতে পারবেন। অপরদিকে গ্যারেজের মালিকরা তাদের পার্কিং স্পেস ভাড়া দিতে পারবেন। এর ফলে রাস্তার পাশে পার্কিং করা গাড়িগুলো যদি না থাকে তাহলে যানজট অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। নেক্সপার্কের কো-ফাউন্ডার মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান গত ১০ বছর ধরে কাজ করছেন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। তিনি জানান, আমরা বাংলাদেশে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দাড় করাচ্ছি যেখানে গাড়ির মালিক ও গেরেজের মালিকের মধ্যে সমš^য় সাধন করা যাবে। একটি গাড়ি সকালে বেরিয়ে যাওয়ার পর গ্যারেজ বা পার্কিং স্পেস খালিই পড়ে থাকে। সেখানে সাময়িক সময়ের জন্য আরেকজনকে সুযোগ দিয়ে আপনি সহজেই ঢাকার যানজট নিরসনে এগিয়ে আসতে পারেন। অনেকেরই গ্যারেজ সারাদিন ফাঁকা পড়ে থাকে। সকালে গাড়ি নিয়ে বের হলে বিকেল পর্যন্ত খালিই পড়ে থাকে অনেকের গ্যারেজ। সেই সময়টুকু গ্যারেজ নেক্সপার্কের মাধ্যমে ঘণ্টা/দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক হিসেবে ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সহ বিকাশের মাধ্যমেও এই লেনদেন করা যাবে। শাহরিয়ার খান জানান, আমরা চেষ্টা করছি পার্কিংয়ের যথাযথ তথ্য নেক্সপার্ক অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের স্মার্টফোনে পৌঁছে দিতে। অ্যাপটি আপনার স্মার্টফোনে ডাউনলোড করলেই ঢাকার যেকোন যায়গায় পার্কিং সম্পর্কিত আপডেট পাবেন। এই অ্যাপে প্রথমে নিজের গাড়ি এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অ্যাপে দেখা যাবে কোথায় কোথায় পার্কিং রয়েছে। চালক প্রয়োজনীয় পার্কিংয়ের জায়গা বেছে নিয়ে তাতে ক্লিক করলে সেই পার্কিং লটে জায়গা ফাঁকা আছে কিনা জানা যাবে। ঘরে বসেই কোথাও যাওয়ার আগেই জানতে পারবেন সেখানে পার্কিংয়ের জায়গা খালি আছে কি না। সবসময় আপনার নিকটস্থ কোথায় গাড়ি পার্ক করার সুযোগ আছে জানাবে নেক্সপার্ক। পার্কিং বুকিংয়ের সময় আপনার কতক্ষণের জন্য পার্কিং প্রয়োজন জানাতে হবে। অনলাইনেই হয়ে যাবে বিল পেমেন্ট। বর্তমানে শুধু গাড়ি ও মোটর সাইকেল আপনি পার্কিং করতে পারবেন। শীঘ্রই অন্যান্য যানবাহনের জন্যও পার্কিং সুবিধা চালু হবে। এছাড়াও এই অ্যাপসের মাধ্যমে পাকিং সুবিধার পাশাপাশি আপনার জরুরী প্রয়োজনে অ্যম্বুলেন্স সার্ভিস, হাসপাতাল, নিকটস্থ এটিএম বুথ সহ ঔষুধের দোকান খুজে নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এমনকি আপনার গাড়িটি রাস্তায় নষ্ট হয়ে গেলে বা গাড়ির যেকোন প্রকার মেরামত করতে চাইলে রেজিষ্টার্ড সার্ভিস সেন্টার থেকে প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবেন এই অ্যাপসের মাধ্যমেই। গুগল প্লেষ্টোর থেকে নেক্সপার্ক অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে goo.gl/PnHnbP এই লিঙ্কে যেতে হবে। শীঘ্রই আইওএস এর জন্যও অ্যাপ চালু করা হবে বলে জানিয়েছি প্রতিষ্ঠানটি।
রাখো দেশে এবার চালু হয়েছে পার্কিংয়ের জায়গা শেয়ারিং অ্যাপ ‘রাখো’।ব্যস্ত এই নগরীতে জ্যামের ফলে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। জ্যামের অন্যতম কারণ অবৈধ বা সেখানে যেখানে বাস, গাড়ি ও বাইক পার্কিং।কোথায় গাড়ি পার্ক করা যাবে তা না জানার ফলে অনেকেই রাস্তার পাশে, যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্ক করেন। যদি এমন হয় হাতে থাকা স্মার্টফোনে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান সম্পর্কে জানা যাবে, তাহলে কেমন হয়? তেমনি একটি স্মার্টফোন অ্যাপ ‘রাখো’।ফিড স্টুডিও নামের দেশীয় স্টার্টআপ সম্প্রতি গাড়ি পার্কিং শেয়ারিং সেবাটি উন্মোচন করেছেন।‘ রাখো’ অ্যাপে ব্যবহারকারী গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য স্থান খুঁজে পাবেন, চাইলে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা ভাড়া দেয়া যাবে। এর উদ্যোক্তারা বলছেন, সামাজিক সমস্যা সমাধানে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। ঢাকায় গাড়ির পার্কিং বড় একটি সমস্যা। তাই ‘রাখো’ অ্যাপের মাধ্যমে আমারা চেষ্টা করেছি প্রযুক্তির মাধ্যমে সমস্যাটির একটা সমাধান দিতে। আশা করছি রাখো অ্যাপের মাধ্যমে নিরাপদ পার্কিংয়ের সঙ্গে যানজটের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে। পরবর্তীতে ব্যবহারকারীর মতামতের ভিত্তিতে অ্যাপের উন্নয়ন করা হবে। অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেইস সুন্দর ও ব্যবহারও সহজ। ঝামেলামুক্ত ভাবে শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর দিয়েই অ্যাপটি নিবন্ধন করা যাবে। তারপর ব্যবহারকারীরা লোকেশন সার্চ দিলে তার আশেপাশের পার্কিং স্পেসের তথ্য পেয়ে যাবেন।অ্যাপটিতে থাকা ‘Rent out my space’ অপশনে গিয়ে ব্যবহারকারীরা চাইলে কোন জায়গা পার্কিংয়ের জন্য ভাড়ার বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। যা থেকে অর্থ আয় করা যাবে।প্রাথমিকভাবে পার্কিংয়ের প্রতি ঘণ্টায় ভাড়া ধরা হয়েছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। পার্কিংয়ের স্থানের রকমভেদে এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।অ্যাপটির ডেভেলপার দলে ছিলেন ফয়সাল আহমেদ ইমন, হামু্দী হাসান, ফয়সাল আহমেদ, মুবীন উল আলম, ফুয়াদ রাফিদ, ফররুখ আহমেদ তুষার, এম আলম তিলত এবং জামিল আহমেদ।গুগল প্লেস্টোরের এই ঠিকানা থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে অ্যাপটি।