TechJano

এবার সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেল ওয়ালটন

হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) এর কাছ থেকে সেরা রপ্তানিকারকের পুরষ্কার পেল ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস, রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগসহ সর্বোপরি দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখার অবদান হিসেবে ওয়ালটন পেল ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’।
গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘অষ্টম এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে ওয়ালটনসহ মোট ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে সেরা রপ্তানিকারকের পুরষ্কার দেয়া হয়। আমদানি-বিকল্প শিল্পে অসামান্য অবদান ক্যাটাগরীতে এই পুরস্কার জিতে নেয় দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তার কাছ থেকে সেরা রপ্তানিকারকের পুরষ্কার গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর ভাইস-চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম।
রপ্তানি আয়ের পরিমাণ, রপ্তানিকৃত দেশের সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিচালন নীতি এবং আরও কিছু গুণগত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিচারকেরা বিজয়ী প্রতিষ্ঠান বাছাই করেছেন বলে জানিয়েছে এইচএসবিসি।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায়, এসএম শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে ওয়ালটন। সেইসঙ্গে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে ওয়ালটন।
তিনি জানান, এশিয়া, মধ্য-প্রাচ্য ও আফ্রিকার পর ওয়ালটনের টার্গেট এখন ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের শীর্ষ বাজার। ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগ ঢেলে সাজানো হয়েছে। এই বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিশ্ববাজারের অভিজ্ঞ বিপণন বিশেষজ্ঞদের। গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণে অধিক জোর দেয়া হয়েছে। কারখানায় যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছে ওয়ালটন।
উল্লেখ্য, এর পরের দিন রবিবার বাংলাদেশ মাস্টার ব্র্যান্ড এ্যওয়ার্ডস-২০১৮ জিতেছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। গ্লোবাল মার্কেটিং ও ব্র্যান্ড গবেষণাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘সিএমও এশিয়া’ ঢাকার একটি হোটেলে এ্যাওয়ার্ডস প্রদান অনুষ্ঠান করে। বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স, হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সেস পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে বিশেষ অবদানের অবদান সববরূপ ওয়ালটনকে ওই পুরষ্কার দেয়া হয়। এর আগে অসংখ্য দেশী-বিদেশেী পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছে ওয়ালটন।
জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে এইচএসবিসি। এবার ছিল অষ্টম আয়োজন। এ আসরে ছয়টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবার পুরষ্কার পেয়েছে আমদানি-বিকল্প শিল্পে অসামান্য অবদান ক্যাটাগরীতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, তৈরি পোশাক শিল্প (গ্রুপ-এ: বার্ষিক রফতানি আয় ১০ কোটি ডলার ও তার বেশি) ক্যাটাগরিতে ডিবিএল গ্রুপ, তৈরি পোশাক শিল্প (গ্রুপ বি: বার্ষিক রফতানি আয় ১০ কোটি ডলারের কম) ক্যাটাগরিতে ঊর্মি গ্রুপ, সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ক্যাটাগরিতে ইটাফিল অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড (ইএএল)।

Exit mobile version