আইফোন ব্যবহারকারীরা এগিয়ে গেছে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পিছিয়ে থাকবে কেন? শিগগিরই অ্যান্ড্রয়েডের এসএমএস আদান-প্রদানের মাধ্যম গুগলের মেসেজেস অ্যাপে বড়সড় পরিবর্তন আসছে। এসএমএসের বদলে স্মার্টফোনে হালের জনপ্রিয় তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদান বা চ্যাটিং অ্যাপ আনছে গুগলের এই অপারেটিং সিস্টেম। ‘রিচ কমিউনিকেশন সার্ভিস বা সংক্ষেপে আরসিএসের মাধ্যমে যোগাযোগের অ্যাপটির নামও রাখা হয়েছে ‘চ্যাট’। নতুন এ সেবা চালু হলে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে চ্যাটই হবে আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া (ডিফল্ট) বার্তা পাঠানোর অ্যাপ। অ্যাপলের আইমেসেজ, ফেসবুকের মেসেঞ্জার কিংবা হোয়টাসঅ্যাপের সঙ্গে পাল্লা দিতেই নতুন এই সংস্করণ আনছে গুগল। সেবা চালু হওয়ার কথা আছে ২০১৯ সালের মধ্যেই। অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাট চালু হলে এসএমএসের সীমাবদ্ধতা থাকবে না আর। বর্তমান অ্যান্ড্রয়েড মেসেজিংয়ে ১৬০ অক্ষরের এসএমএস পাঠানো যায়। ছবি, ভিডিও কিংবা অন্য কোনো মাল্টিমিডিয়া ফাইল জুড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। নতুন অ্যাপ চ্যাটে মেসেঞ্জার কিংবা আইমেসেজের মতো ছবি বা ভিডিওসহ যত ইচ্ছা অক্ষরের বার্তা পাঠানো যাবে। তবে আরসিএস মোবাইল নেটওয়ার্কের বদলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে বার্তা পাঠাবে চ্যাট। স্যামসাং, এলজি, হুয়াওয়ে আর এইচটিসিসহ আরও বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আরসিএস নিবন্ধিত। অর্থাৎ এ নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোতেই কাজ করবে নতুন চ্যাট অ্যাপটি। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের স্মার্টফোনে এ ধরনের বার্তা সাধারণ এসএমএস আকারেই গ্রহণ করবে। অ্যাপলের আইমেসেজেও আরসিএস নিবন্ধিত নয়। এখন প্রশ্ন হলো, আরসিএসে আইফোনের আইমেসেজের মতো নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। কারণ আইমেসেজে ব্যবহার করা ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ ব্যবহার করেনি গুগল। সে যা-ই হোক, এসএমএসের মৃত্যু যে ঘনিয়ে এসেছে, তা অন্তত বলা যায়।