দেশ

ওরা প্রযুক্তি-আলো’র ফেরিওয়ালা

By Baadshah

March 06, 2018

অগমেন্টেড রিয়েলিটিতে শিক্ষা আর বিনোদন ফেরি করছে তারা। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে বগলদাবা করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে পদার্থ বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞানের আলো। গণিতের গলি-ঘুপচির ভয়ও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে কাজ শুরু করেছে। প্রযুক্তির সর্বশেষ সুবিধা নিয়ে এই সেবাটি দিতে চেষ্টা করছে তরুণেরা। জোনাকীর মতো অন্ধকারে হাসি ফোটানো এই আলোর ফেরিওয়ালাদের নাম ‘ব্যাটারি লো’। ইতোমধ্যেই ঢাকা, সাভার ও রাজশাহীর ৭৭টি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের তৈরি অগমেন্টেড রিয়েলিটি অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিনোদন ও বিজ্ঞানের আলো পৌঁছে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিআর ও এআর প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। অগমেন্ডেন্ট রিয়েলিটিতে বাস্কেট বল, সেলিব্রেটিদের সঙ্গে ছবি তোলার মতো আনন্দ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনযোগ কেড়েছেন। শিক্ষামূলক সামগ্রী খুঁজে বের করে উপহার হিসেবে পেয়েছেন স্কাই ড্রাইভিং ভিআর গেম। এই উদ্যোগের বিষয়ে ব্যাটারি লো এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মিনহাজ উজ সালেকীন ফাহমি বলেন, ‘এক সময় দেশের অনেক জায়গায় ফিজিক্স-কেমিস্ট্রির ল্যাব ছিল না। তখন যদি কেউ ল্যাবটা নিয়েই ঘুরে ঘুরে দেখাতো পুরো বাংলাদেশ, ব্যাপারটা কী চমৎকারই না হত? এই অভাব পূরণেই ব্যাটারি লো এখন এআর ও ভিআর এ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করছে। জাতীয় শিক্ষা পাঠ্যক্রমের জটিল বিষয়কে শিক্ষার্থীদের কাছে বাস্তবে নিয়ে আসতে কাজ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেই ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমরা অগমেন্টেড আর ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে নিয়ে গিয়েছি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের কাছে। স্বপ্নটা অনেক বড়, যোগানটা হয়ত নাই। সাহসটা আছে আগের মতই আমাদের ২৫ জনের ছোট্ট সংসারের।’

ফাহমি বলেন, ‘যেখানে ২জি পর্যন্ত পৌঁছে নাই, সেখানেও পৌঁছে দিতে চাই প্রযুক্তি শিক্ষাকে।’এজন্য রাজধানীর নিকেতনের ভাড়া অফিসে বসেই কাজ শুরু করেছেন। এ কাজে তার সঙ্গে প্রযুক্তির দোতারা বাজাচ্ছেন অপর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান (সিটিও) মিনহাজ মিমো এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ইশতিয়াক আহমেদ।

লেখক: ইমদাদুল হক, সাংবাদিক ও তথ্যপ্রযুক্তি লেখক।