TechJano

ওয়ালটনের ‘প্রিমো আরফাইভ প্লাস’ ফোরজি ফোন এখন বাজারে

আকর্ষণীয় ডিজাইনের নতুন ফোরজি ফোন বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। যার মডেল ‘প্রিমো আরফাইভ প্লাস’। দেশে তৈরি সাশ্রয়ী মূল্যের ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩ জিবি র‌্যাম। ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা দামের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে বড় পর্দার ফুল ভিউ ডিসপ্লে, ফেস আনলকসহ অত্যাধুনিক সব ফিচার।

ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিক্রয় বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান, নতুন আসা ফোনটি ‘আর’ সিরিজের ‘প্রিমো আরফাইভ’ মডেলের আপগ্রেডেড ভার্সন। আগের মডেলটি ক্রেতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার ফলে র‌্যামসহ বেশকিছু ফিচার বাড়িয়ে নতুন মডেলটি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন।

তিনি জানান, ‘প্রিমো আরফাইভ প্লাস’ মডেলের হ্যান্ডসেটটির ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয় ও স্টাইলিশ। এর মসৃণ ও বাঁকানো কোণা স্মার্টফোনটির সৌন্দর্য্য বাড়িয়েছে। হ্যান্ডসেটটি বেশ হালকা। ব্যাটারিসহ ওজন ১৪৫ গ্রাম। ৮.৩ মিমি স্লিম ফোনটি হাতে ধরলে একটা প্রিমিয়াম ফিল পাওয়া যায়। নীল এবং কালো- এই দুটি ভিন্ন রঙে ফোনটি বাজারে মিলছে।

এই ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে আইপিএস প্রযুক্তির এইচডি প্লাস নিউ জেনারেশন ১৮:৯ রেশিওর ফুল-ভিউ ডিসপ্লে। ৫.৭২ ইঞ্চির পর্দার রেজ্যুলেশন ১৪৪০ বাই ৭২০ পিক্সেল। ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ধূলা ও আঁচররোধী ২.৫ডি কার্ভড গøাগ্লাসও। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে বেশ ভালো অভিজ্ঞতা মিলবে।

‘প্রিমো আরফাইভ প্লাস’ অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত। ফলে এই ফোনের কার্যক্ষমতা ও গতি বেশি। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ১.৩ গিগাহার্জ গতির কোয়াডকোর প্রসেসর। সঙ্গে রয়েছে ৩ জিবি ডিডিআর৩ র‌্যাম এবং পাওয়ার ভিআর জিই৮১০০ গ্রাফিক্স। ফলে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, থ্রিডি গেমিং এবং দ্রæত ভিডিও লোড ও ল্যাগ-ফ্রি ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা পাওয়া যাবে।

ফোনটির অভ্যন্তরীণ মেমোরি ১৬ গিগাবাইটের। যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। ফলে অনেক বেশি ছবি, গান, ভিডিও, ডকুমেন্টস ইত্যাদি সংরক্ষণ নিয়ে খুব একটা চিন্তায় পড়তে হবে না। এই ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত এফ২.০ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ বিএসআই ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে সফট এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত এফ২.০ অ্যাপারচারের বিএসআই ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। উভয় পাশের ক্যামেরায় ফুল এইচডি ভিডিও ধারণ করা যাবে।

ক্যামেরায় নরমাল মোড ছাড়াও রয়েছে পোর্টরেইড মোড, ফেস বিউটি, ফেস ডিটেকশন, ডিজিটাল জুম, সেলফ টাইমার, অটো-ফোকাস, টাচ-ফোকাস, টাচ-শট, এইচডিআর, টাইম ল্যাপস, স্লো মোশন, প্যানোরমা, স্মার্ট সিন, নাইট মোড, সুপার পিক্সেল, জিফসহ অসংখ্য আকর্ষণীয় ফিচার।

পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। কানেক্টিভিটির আছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪.২, ইউএসবি ২, ওয়্যারলেস ডিসপ্লে, ল্যান হটস্পট, ওটিএ এবং ওটিজি। সেন্সর হিসেবে আছে জিপিএস, এ-জিপিএস, এক্সেলারোমিটার (থ্রিডি), প্রোক্সিমিটি ইত্যাদি।

ওয়ালটনের এই ফোনে তিন ধরনের সিকিউরিটি ব্যবস্থা রয়েছে। এতে ফেস আনলক প্রযুক্তি দেয়া হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী ফোন আনলক করতে তার মুখাবয়ব ব্যবহার করতে পারবেন। এতে অনাকাঙি্ক্ষত কারো হাতে পড়লেও ফোনের তথ্য থাকবে সুরক্ষিত। তাছাড়া, ফোনের সুরক্ষায় রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরও।

অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফোরজি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট, আলাদা এসডি কার্ড ব্লুটসহ ডুয়াল সিম, স্প্লিট স্ক্রিন, রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, ফুল এইচডি ভিডিও প্লে-ব্যাক, নোটিফিকেশন লাইট, স্মার্ট অ্যাকশন, স্মার্ট জেসচার, ইত্যাদি।

বাংলাদেশে তৈরি এই স্মার্টফোনে রয়েছে বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া, স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা তো থাকছেই।

Exit mobile version