দেশব্যাপী চলছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৬। এর আওতায় ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন এবং এয়ার কন্ডিশনার ক্রেতাদের জন্য প্রতিদিনই রয়েছে ৩৫ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। ক্যাম্পেইনে ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে ৫ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছেন নোয়াখালীর মো. সুমন। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে বদলে গেলো দরিদ্র পরিবারের বেকার ছেলে সুমনের ভাগ্য।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এজন্য তারা চালাচ্ছে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পেইন। এ প্রক্রিয়ায় ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন।
এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ওয়ালটন টিভি, ফ্রিজ এবং এসির ক্রেতাদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকাসহ প্রতিদিনই রয়েছে ৩৫ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। সব ক্রেতার জন্য আছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
সোমবার (২ মার্চ, ২০২০) সোনাইমুড়ী থানার বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুমনের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরন উর রশিদ, ‘অ্যাপেক্স ক্লাব অব চৌমুহনী’র সভাপতি ইয়াসিন সুমন, ওয়ালটনের নোয়াখালী জোনের ফিল্ড ম্যানেজার মো. রায়হান এবং ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘ফেমাস ইলেকট্রনিক্স’-এর স্বত্ত্বাধিকারী নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ক্রেতা সুমন জানান, তার বাড়ি বেগমগঞ্জের আলাদি নগরে। বাবার সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির সামান্য টাকায় সংসার চলে। কাজের খোঁজে কাতারে গিয়েছিলেন সুমন। কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদিকে ৭ সদস্যের পরিবারে একটি ফ্রিজ না হলে চলছিলই না। তাই মাত্র ২২,৩০০ টাকা দিয়ে ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কেনেন। ওই ফ্রিজ কিনেই ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে পেয়ে যান ৫ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ভাগ্য বদলের আশায় বিদেশে গিয়েছিলাম। কিন্তু সফল হই নাই। আসলে আমার সফলতা তো দেশের মাটিতেই। দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে এক নিমিষেই ভাগ্য বদলে গেলো। এই টাকা দিয়ে জমি কিনে চাষাবাদ করবো। ওয়ালটনের জন্য আমার পরিবারের অভাব দূর হলো। ক্রেতাদের জন্য এমন সুযোগ রাখায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক বলেন, ওয়ালটনের পণ্য আন্তর্জাতিকমানের। দামে অত্যন্ত সাশ্রয়ী। ওয়ালটন আমাদের দেশের সম্পদ। বিশ্বের বহুদেশে এখন বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটনের পণ্য রপ্তানি হয়। ওয়ালটন ক্রেতাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে রক্ষা করে। যার উত্তম উদাহরণ আজকের এই ক্যাশব্যাক হস্তান্তর অনুষ্ঠান। ওয়ালটনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি আউটলেট। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ। দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতেও ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম যঃঃঢ়ং://বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স থেকেও ফ্রিজসহ সব ধরনের পণ্য কেনা যাচ্ছে।
ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।