চলতি বছর স্থানীয় বাজারে এয়ার কন্ডিশনার বিক্রিতে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে ওয়ালটন। বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি এসি বিক্রি করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।
লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাওয়ার এই অর্জনকে উপলক্ষ্য করে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে ‘অ্যাচিভমেন্ট সেলিব্রেশন প্রোগ্রাম’ এর আয়োজন করা হয়। সাফল্য উৎযাপনে কাটা হয় বিশালাকার কেক। বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার এই সাফল্যে বিশেষ অবদান রাখায় ওয়ালটন প্লাজা সেলস ডেভেলপমেন্ট, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক এবং মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের বিক্রয় বিভাগের কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, এস এম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবির, আবুল বাশার হাওলাদার, শোয়েব হোসেন নোবেল, নিজাম উদ্দীন মজুমদার, তানভীর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ রায়হান, গোলাম মুর্শেদ, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, শাহজাদা সেলিম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক আমিন খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশে এসির বাজার, এতে ওয়ালটনের অবস্থান এবং বিক্রয় লক্ষ্য নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর খন্দকার শাহরিয়ার মুরশিদ। তিনি জানান, বাংলাদেশে এসির বার্ষিক চাহিদা ৪ লাখ ইউনিট। দেশের এসি বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখলে রয়েছে ওয়ালটনের। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি ৬৫ হাজার ইউনিট এসি বিক্রির টার্গেট নিয়েছে। ২৫ শতাংশ লক্ষ্য ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান এবং এসির বিক্রয় বৃদ্ধি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
যারা পুরস্কৃত হলেন
প্লাজা সেলস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সেরা এরিয়া ম্যানেজারের পুরস্কার পান সালেহ আহমেদ, আরিফ মইনুদ্দিন এবং সুমন মিয়া। ওই বিভাগের সেরা পিএসডি হেড হিসেবে পুরস্কার পান আরিফুল ইসলাম।
ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে পুরস্কৃত হন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মাসুদ সোহেল এবং মওদুদ পারভেজ মামুন। সেরা জোনাল ম্যানেজার হন মনিরুল হক।
মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক থেকে সেরা এরিয়া ম্যানেজারের পুরস্কার পান রাজিব রহমান, জাহিদ হাসান, নূরুল আমিন এবং আসাদুল ইসলাম। যৌথভাবে সেরা জোনাল ম্যানেজার হন তয়েবুর রহমান খান এবং মীর হোসেইন।
এছাড়াও, এসি সেলস মনিটরিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অপূর্ব সরকার, মিনহাজ উদ্দিন রুবেল এবং আহমেদ আল নাহিয়ান। বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয় বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান এমদাদুল হক সরকার, প্লাজা সেলস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ রায়হান এবং মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান সাখাওয়াত হোসেন।