বগুড়া পৌরসভার মেনীকুন্ড লেনের তরুণ ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান। সম্প্রতি শহরের ঝাউতলা এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি ডিপ ফ্রিজ কেনেন তিনি। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় পণ্যটি রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়। ওই টাকায় ব্যবসা আরো বড় করার স্বপ্ন দেখছেন আশিকুর। উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। সেজন্য তারা সারা দেশে চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ওই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উদ্বুদ্ধ করতে ওয়ালটন ঘোষণা করেছে ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। রয়েছে ১ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিংবা ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এসব সুবিধা থাকছে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৬ সেপ্টেম্বর আশিকুর রহমানের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফি, বগুড়া থানার ওসি বদিউজ্জামান, ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার আসলামুল হক এবং ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার আবু তাহের সিদ্দিকীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে আশিকুর রহমান বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ সম্পর্কে সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রথমে জেনেছিলাম। তারপর প্লাজায় এসে বিস্তারিত জানতে পারি। কিন্তু মাত্র ২৬ হাজার ৯৯০ টাকা দিয়ে ফ্রিজার কিনে আমি যে সত্যি সত্যিই ১০ লাখ টাকা পেয়ে যাবো, সেটা কল্পনাও করতে পারি নাই। এ টাকা ব্যবসায় খাটাবো। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফি বলেন, খুবই ভালো লাগে যে ওয়ালটন আমাদের দেশের কোম্পানি। আমার বাসার সব ইলেকট্রনিক্স পণ্যই ওয়ালটন থেকে কেনা। সার্ভিস যেমন ভালো, দামেও সাশ্রয়ী। ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে টাকা হস্তান্তর করে তারা সবার মনে স্থায়ী জায়গা করে নিলো। আমার বিশ্বাস ওয়ালটন খুব শিগগিরই বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। ওয়ালটনের জন্য শুভকামনা। ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশের বাজারে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছিলেন তারা। বছরের প্রথম ৮ মাসেই প্রায় ১৭ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫১ শতাংশ বেশি। কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছর ফ্রিজের ডিজাইন ও কালারে আনা হয়েছে বৈচিত্র। মানোন্নয়নের আত্ম-বিশ্বাসে ফ্রিজ কম্প্রেসারের গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়েছে। বাজারে ছাড়া হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী লেটেস্ট প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ও গ্লাস ডোরসহ ওয়্যাইড ভোল্টেজ ফিচারের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। দেয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এর সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধাথাকায় দেশের বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ। স্থানীয় বাজারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারেও আশাতীত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন। ভারতের বাজারে ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ বিক্রিতে হুন্দাই ও রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের মাধ্যমে আমেরিকায় যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। এছাড়া বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের নামে চাহিদা মোতাবেক পণ্য তৈরি করে দিতে কাজ করছে ওয়ালটন। সূত্রমতে, এখন ওয়ালটনের টার্গেট- ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজার। সেজন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও সৃজনশীল ডিজাইনের গ্লোবাল মডেলের ফ্রিজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এসব ফ্রিজের ডিজাইন, উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী বিপণন নিয়ে কাজ করছেন ইটালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), মান নিয়ন্ত্রণ বা কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ (কিউসি) বিভিন্ন বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি।