ওয়ালটন ফোন, সেরা ফোন। কেন সেরা? দামের সাথে এর স্পেকস দেখুন। বাজারে এলো ওয়ালটনের তৈরি প্রথম নচ ডিসপ্লের স্মার্টফোন ‘প্রিমো এসসেভেন’। এতে রয়েছে এআই সমৃদ্ধ ট্রিপল ক্যামেরা, শক্তিশালী অক্টাকোর প্রসেসর ও ব্যাটারিসহ আকর্ষণীয় সব ফিচার। ব্লু এবং সি গ্রিন এই দুটি রঙে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটে ফোনটি মিলছে। এর দাম রাখা হয়েছে মাত্র ১৪,৯৯৯ টাকা। ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিক্রয় বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান বলেন, অত্যাধুনিক সব ফিচারসমৃদ্ধ প্রিমো এসসেভেন ফোনটি বাজারে আসার আগেই প্রি-অর্ডার নেয়া হয়েছিল। এতে ক্রেতাদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। যারা প্রি-অর্ডার দিয়েছেন, ক্যাশব্যাকসহ তাদের কাছে ফোনটি হস্তান্তর করা হচ্ছে। ক্রেতাদের কাছ থেকে ফোনটি সম্পর্কে প্রচুর পজিটিভ রিভিউ পাচ্ছি। বিশেষ করে ফোনটির আকর্ষণীয় ডিজাইন ও লুক, ক্যামেরা, প্রসেসর ইত্যাদির পারর্ফমেন্সে ক্রেতারা দারুণ সন্তুষ্ট। ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, প্রিমো এসসেভেন মডেলের ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ৬.২৬ ইঞ্চির ১৯:৯ রেশিওর নচ ডিসপ্লে। এইচডি প্লাস পর্দার রেজ্যুলেশন ১৫২০ বাই ৭২০ পিক্সেল। আইপিএস প্রযুক্তির স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ধূলা ও আঁচররোধী ২.৫ডি কার্ভড গ্লাসও। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহক। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত। ফলে এই ফোনের কার্যক্ষমতা ও গতি অনেক বেশি। এতে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যন্ত স্লিম (১২ ন্যানোমিটার) ৬৪ বিটের ২.০ গিগাহার্জ গতির অক্টাকোর প্রসেসর। সঙ্গে রয়েছে ৩ জিবি ডিডিআর৪ র্যা ম এবং পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২০ গ্রাফিক্স। ফলে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, থ্রিডি গেমিং এবং দ্রুত ভিডিও লোড ও ল্যাগ-ফ্রি ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা পাওয়া যাবে। ফোনটির অভ্যন্তরীণ মেমোরি ৩২ গিগাবাইটের। যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত এফ ২.০ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ পিডিএএফ প্রযুক্তির ১২, ১৩ এবং ২ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা। এর ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় রয়েছে সনি আইএমএক্স৪৮৬ সেন্সর। এতে অল্প আলোতে চমৎকার ছবি তোলা যাবে। ১৩ মেগাপিক্সেল আরেকটি ক্যামেরা থাকায় ১২০ ডিগ্রি সুপার ওয়াইড-অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলা যাবে। আর ২ মেগাপিক্সেলের তৃতীয় ক্যামেরায় রয়েছে ডেপথ সেন্সর। যা দেবে পোটরেইড মোডে অসাধারণ ছবি তোলার সুবিধা। আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে পিডিএএফ প্রযুক্তির ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। যা অল্প আলোতেও দেবে নিখুঁত সেলফি। উভয় ক্যামেরায় ফুল এইচডি ভিডিও ধারণ করা যাবে। রয়েছে এআই মোড, এআই বিউটি, পোর্টরেইড মোড, স্লো-মোশন, টাইমস ল্যাপস, এইচডিআর, প্যানারোমা, নাইট মোড, ফেস ডিটেকশন, ডিজিটাল জুমসহ অসংখ্য আকর্ষণীয় ফিচার। দুর্দান্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩৯০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। কানেক্টিভিটি হিসেবে আছে ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪, মাইক্রো ইউএসবি ভার্সন ২, ওয়ারলেস ডিসপ্লে, ল্যান হটস্পট, ওটিএ এবং ওটিজি। সেন্সর হিসেবে আছে প্রোক্সিমিটি, ম্যাগনেটিক ফিল্ড (কম্পাস), অরিয়েন্টেশন, স্টেপ ডিটেক্টর, ফেস আনলক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, হল সেন্সর, স্মার্ট কভার সেন্সর ইত্যাদি। ৮.২ মিমি স্লিম হ্যান্ডসেটটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডুয়াল সিমে ফোরজি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট, রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, ফুল এইচডি ভিডিও প্লে-ব্যাক ও ক্যামকর্ডার, স্মার্ট অ্যাকশন, স্মার্ট জেসচার ইত্যাদি। দেশে তৈরি এই স্মার্টফোনে রয়েছে বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া, স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা তো থাকছেই।