ওয়ালটন ফ্রিজের উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখলেন দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একঝাঁক তারকা অভিনয় শিল্পী। বাংলাদেশে তৈরি বিশ্বমানের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি দেখে তারা বিস্মিত। সবার মুখে একই প্রতিক্রিয়া ‘ওয়াও! এত বড় কারখানা আমাদের দেশে! এখানে না এলে বুঝতাম না ওয়ালটন বাংলাদেশকে কিভাবে প্রতিনিধিত্ব করছে। বিশাল অত্যাধুনিক কারখানা আর হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান- সত্যিই ওয়ালটন বাংলাদেশের গর্ব।’
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদের আমন্ত্রণে শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারা সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অত্যাধুনিক কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক চিত্রনায়ক আমিন খান। ওয়ালটন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করা তারকাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, চিত্রনায়ক নিরব ও জয় চৌধুরী, অভিনেত্রী সোহানা সাবা, জিনাত সানু ¯^াগতা, অ্যানি খান, তানহা তাসনিয়া, তমা মির্জা, সারিকা সাবা, মডেল ও অভিনেত্রী আজমেরি আশা, প্রাণী উদ্ধারকর্মী আফজাল খান এবং আরজে নিরব খান। চলচ্চিত্র তারকাদের ওয়ালটন ফ্রিজের উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেন ফ্রিজ বিভাগের চিফ অপারেটিং অফিসার আলমগীর আলম সরকার, ডেপুটি চিফ অপারেটিং অফিসার ইউসুফ আলী এবং ব্র্যান্ড ম্যানেজার জীবন আহমেদ। মিশা সওদাগর বলেন, আমাদের দেশে এতবড় ইলেকট্রনি· ফ্যাক্টরি আছে তা জানতাম না। একটি কারখানা এতো পরিপাটি করে রাখা যায় ভাবতেই পারছি না। ওয়ালটন দেশকে যা দিচ্ছে তা সত্যিই গর্ব করার মতো। সেদিন আর বেশি দূরে নাই যেদিন আমরা বহিঃর্বিশ্বে ‘ওয়ালটনের দেশ’ হিসেবে পরিচিতি পাবো। কারণ দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। আমরা সবসময় ওয়ালটনের সঙ্গে আছি। জায়েদ খান বলেন, গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের আগেই নিশ্চিত হয়েছিলাম, ভেতরে মহা কর্মযজ্ঞ চলছে। এখানে এসে বুঝতে পারছি আমাদের দেশ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে কতটা এগিয়ে গেছে। এখন আমাদের দরকার দেশকে ভালোবাসা আর দেশীয় ইলেকট্রনি· জায়ান্ট ওয়ালটনের পাশে থাকা। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের গোছানো মনোরম পরিবেশ দেখে মুগ্ধ সোহানা সাবা। তিনি বলেন, ভেতরের প্রশস্ত পরিপাটি রাস্তা দিয়ে ওয়ালটনের নিজ¯^ গাড়িগুলো যখন এক কারখানা থেকে অন্য কারখানায় আমাদের নিয়ে যাচ্ছিলো, তখন মনে হচ্ছিল আমরা ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো দেশে এসে পড়েছি। যারা বিশ্বমানের ফ্যাক্টরি তৈরি করতে পারে, তারা নিশ্চয়ই বিশ্বমানের পণ্যও উৎপাদন করতে পারে। ওয়ালটনকে নিয়ে সত্যিই আমরা গর্বিত। তমা মির্জা বলেন, ফ্রিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কম্প্রেসর। ওয়ালটন নিজ¯^ প্ল্যান্টে সেই কম্প্রেসর তৈরি করছে। ক¤েপ্রসরের নয়েজ টেস্টিং রুমে গিয়ে দেখলাম আরেক অবাক করা বিষয়। ওয়ালটনের তৈরি ক¤েপ্রসর মোস্ট নয়েজলেস ক¤েপ্রসর। সেখানে নয়েজ টেস্ট করার জন্য আছে অত্যাধুনিক সব যন্ত্র। ওয়ালটন ফ্রিজের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে আসায় তারকাদের ধন্যবাদ জানান ফ্রিজের সিইও গোলাম মুর্শেদ। এ সময় তিনি বলেন, ওয়ালটন সবসময় চলচ্চিত্র শিল্পীদের পাশে আছে। বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন এবং ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বহিঃবির্শ্বে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে ওয়ালটন। আশা করি চলচ্চিত্র শিল্পীরা সব সময় ওয়ালটনের পাশে থাকবেন। কারখানা দেখার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য চলচ্চিত্র তারকারা ওয়ালটন কর্তৃপ¶কে ধন্যবাদ জানান। তাদের মতে, এরফলে নিজ চোখে এতো বড় কর্মতৎপরতা দেখার সুযোগ হলো। ওয়ালটন খুব শিগগিরই বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডে