TechJano

ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতা টিটুর হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিলেন মাশরাফি

তীব্র শীতের ভেতর জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’। এ উপলক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারের সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন দেশের অসংখ্য ক্রেতা। তাদের একজন ঢাকার তরুণ উদ্যেক্তা মো. মনিরুল ইসলাম টিটু। সম্প্রতি তার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফির কাছ থেকে ওয়ালটন ফ্রিজের ক্যাশ ভাউচার পেয়ে মহাখুশি টিটু।

উল্লেখ্য, অনলাইনে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ফ্রিজের ক্রেতাদের ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারের সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক দেয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এক অনুষ্ঠানে টিটুর হাতে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলম এবং ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান।

ক্রেতা মনিরুল ইসলাম টিটু জানান, তিনি এবং তার ৪ বন্ধু মিলে যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইলে একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন। ওই রেস্টুরেন্টের জন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে ফ্রিজ কিনতে যান। বন্ধুদের সবাই ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার বিষয়ে মত দেন। তারা জানান, তিনজনের বাসায় ওয়ালটন ফ্রিজ আছে। খুবই ভালো সার্ভিস পাচ্ছেন। সবাই মিলে পছন্দ করে আবাবিল ইলেকট্রনিক্স থেকে ৩১২ লিটারের ওয়ালটন ফ্রিজ কেনেন। এরপর বন্ধুদের একজনের মোবাইল নাম্বার দিয়ে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।

ক্যাশ ভাউচারের টাকায় আরো দুইটি ফ্রিজ, ১টি মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং ৩টি ব্লেন্ডার কিনেছেন টিটু। ফ্রিজ দুটি দুই বন্ধুকে দিয়েছেন। বাকি পণ্যগুলো তাদের রেস্টুরেন্টে ব্যবহার করছেন।

তিনি বলেন, ওয়ালটন পণ্য ভালো সার্ভিস দেয়। বন্ধুদের নিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনলাম। ব্যবসার শুরুতেই ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে। আরো ভালো লাগছে ওয়ালটন কারখানায় মাশরাফির হাত থেকে সেই ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি। আবার ওয়ালটন ফ্রিজের অত্যাধুনিক কারখানাও স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ফ্রিজে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। দেয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এর সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।

ওয়ালটনের সেলস বিভাগ জানায়, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। যেখান থেকে ক্রেতারা চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ থেকে পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারছেন। এসব ফ্রিজের দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতেও ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তি এবং অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও ২০০% ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক রয়েছে।

ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭২টি সার্ভিস পয়েন্ট।

Exit mobile version