ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন তিন জেলার আরো তিন ক্রেতা। তারা হলেন- ফরিদপুরের রাজমিস্ত্রী সিরাজুল ইসলাম, মাদারিপুরের গৃহিণী বিথী বেগম এবং শরীয়তপুরের মুদি দোকানি বাবুল ছৈয়াল। প্রতিষ্ঠানটির চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ এর আওতায় ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’ এ এই সুবিধা পান তারা। ওয়ালটনের পক্ষে তাদের হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক।
উল্লেখ্য, অনলাইনে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ। ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদি এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম। পেশায় রাজমিস্ত্রী। সম্প্রতি তিনি ভাঙ্গা বাজারে ওয়ালটনের পরিবেশক নাহার ইলেকট্রনিক্স থেকে একটি ফ্রিজ কেনেন। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০ শতাংশ ক্যাশভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। ওই টাকায় আরো দু’টি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেছেন সিরাজুল। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সিরাজুল ইসলামের হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেয়া হয়। সে সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ইসহাক মোল্লা, ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শহিদুল হক মিরু এবং ‘নাহার ইলেকট্রনিক্স’ এর স্বত্ত্বাধিকারী এম এম ওমর ফারুক। এদিকে, মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার কাদিরপুর বাজারে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ পরিবেশক ‘মোড়ল ইলেকট্রনিক্স এন্ড হার্ডওয়্যার’ থেকে ২৬৮ লিটারের ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন মাদারিপুর সদরের গৃহিণী বিথী বেগম। যা দিয়ে একই শোরুম থেকে তিনি ডাবল ডোরের ওয়ালটন ফ্রিজ নিয়েছেন। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) শিবচরের মুন্সী কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই ক্যাশ ভাউচার হস্তান্তর করা হয়। বিথী বেগমের পক্ষে তার ছেলে সালমান খান চিত্রনায়ক সাইমনের হাত থেকে ২০০% ক্যাশ ভাউচার গ্রহণ করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম শওকত জাহান, কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম তালুকদার চাঁন মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক মুন্সী, ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর নিয়ামুল হক, ফার্স্ট সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর আল-মাহফুজ খান এবং ‘মোড়ল ইলেকট্রনিক্স এন্ড হার্ডওয়্যার’-এর স্বত্ত্বাধিকারী শাহীন মোড়লসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর আগে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ২৪৪ লিটারের ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পান মুদি দোকানদার বাবুল ছৈয়াল। একই দিনে তার হাতেও ক্যাশ ভাউচার তুলে দেয়া হয়। সে সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু এবং পৌর কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম সরদার। ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ। দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতেও ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তি এবং অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও ২০০% ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭২টি সার্ভিস পয়েন্ট। উল্লেখ্য, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। উৎপাদনের পর বাংলাদেশ এক্রিডিয়েশন বোর্ড (বিএবি) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত-ইউটিএইচ ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে প্রতিটি ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হয়। যার ফলে দেশের ফ্রিজ বাজারে শীর্ষে ওয়ালটন। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ।