শুরু হলো ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫। অনলাইনে দ্রত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে এই ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের প্রতি সিজনেই ক্রেতাদের জন্য নতুন নতুন চমক রাখে ওয়ালটন। এবার সিজন-৫ এ রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ ক্রেতাদের ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে তারা। রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
সোমবার (৭ অক্টোবর, ২০১৯) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে’ এ ঘোষণা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে এসএমএস কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে পণ্যটি রেজিস্ট্রেশন করবেন ক্রেতা। এরপর ফিরতি এসএমএস-এ ক্রেতাকে ক্যাশ ভাউচার অথবা ক্যাশব্যাকের অংক জানিয়ে দেয়া হবে। তিনি প্রাপ্ত ক্যাশবাক ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবেন। অথবা ওই টাকায় নতুন পণ্য কিনতে পারবেন।
ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন, আরিফুল আম্বিয়া ও মোহাম্মদ রায়হান।
ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউভটিভ ডিরেক্টর আমিন খান ও সাখাওয়াৎ হোসেন, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজাদা সেলিম, অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল আলম ভুঁইয়া, ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর শহীদুজ্জামান রানা।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আগের চার সিজনে ১০ লাখ টাকা, নতুন গাড়ি, আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমণের ফ্রি বিমান টিকিট ছাড়াও ক্রেতারা কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। ছিলো মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিপুল পরিমাণ ওয়ালটন পণ্য ফ্রি।
আরিফুল আম্বিয়া জানান, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রæত কাক্সিক্ষত সেবা নিতে পারেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারেন। এ কার্যক্রমে অংশ নিতে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘২০১৯ সাল ওয়ালটনের জন্য নতুন মাইলফলক অর্জনের চ্যালেঞ্জিং ইয়ার। এ বছর স্থানীয় বাজারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারেও আশাতীত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন। বিশ্বের যে কোনো দেশের ক্রেতাদের অভ্যাস, রুচি, মানদন্ড ও ব্যবহার উপযোগি ফ্রিজ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। ভারতের বাজারে ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ বিক্রিতে হুন্দাই ও রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের মাধ্যমে আমেরিকায় যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। এছাড়া বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের নামে চাহিদা মোতাবেক পণ্য তৈরি করে দিতে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, এখন ওয়ালটনের টার্গেট- ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজার। সেজন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও সৃজনশীল ডিজাইনের গেøাবাল মডেলের ফ্রিজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এসব ফ্রিজের ডিজাইন, উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী বিপণন নিয়ে কাজ করছেন ইটালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), মান নিয়ন্ত্রণ বা কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ (কিউসি) বিভিন্ন বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, এ বছর দেশের বাজারে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছিল। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘১৯ এ ২০’। বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রায় ১৮ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়ে গেছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৫০ শতাংশ বেশি।
বছর শেষ হওয়ার আগেই ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ডিরেক্ট কুল বা ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার। এসব রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজারের দাম ১০ হাজার টাকা থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতে কেনারও সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনে ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাবে।
এ বছর চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গøাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। এছাড়াও, ৫৬৩ লিটারের ইনভার্টার ও সাইড বাই সাইড গøাস ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলবে।
এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৫টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্ট।