TechJano

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন পুলিশ কনস্টেবল

চলছে ‘ওয়ালটন ঈদ মেগা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন’। ক্যাম্পেইনের’ চতুর্থ দিনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি পেয়েছেন পুলিশ সদস্য আরাধন চন্দ্র সাহা।বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল আরাধন দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় সংসদ ভবন নিরাপত্তা ইউনিটে।

‘ঈদের খুশি জমবে ভারি, নতুন গাড়ির ছড়াছড়ি’ স্লোগান নিয়ে ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এই ‘ঈদ মেগা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন’। এর আওতায় ওয়ালটন টিভি, ফ্রিজ কিংবা এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করে ক্রেতারা পাচ্ছেন নতুন গাড়ি। রয়েছে ফ্রিজ, টিভি, এসিও। এসব ছাড়াও আছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ। এই সুবিধা থাকছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ পর্যন্ত।

আরাধন চন্দ্র সাহা গত বুধবার মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা হাই স্কুল মার্কেটের মেসার্স ইন্টারএকটিভ ইলেকট্রনিকস থেকে ১৮ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ৮ সিএফটি আয়তনের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি পান। অপ্রত্যাশিত এই প্রাপ্তিতে আনন্দের বন্যা বইছে আরাধনের পরিবারে। ফ্রিজ কেনার পরদিন বৃহস্পতিবার আরাধন চন্দ্র সাহার কাছে নতুন গাড়ি হস্তান্তর করেছে ওয়ালটন।

তাঁর হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটন বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম, ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. হুমায়ূন কবির, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম ও আরিফুল আম্বিয়া, অপারেটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ ফিরোজ আলম এবং মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস।

আরাধন চন্দ্র সাহা জানান, তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ধূলাদিয়া গ্রামে। বাড়িতে মা-বাবা এবং একমাত্র ছোট বোন থাকেন। মাসছয়েক আগে বিয়ে করেছেন আরাধন। স্ত্রীকে ঢাকায় নিজের কাছে নিয়ে আসবেন বলে এ মাসেই মিরপুরে ছোট্ট একটি বাসা ভাড়া করেছেন। নতুন সংসারের জন্য ফ্রিজ কিনতে সহকর্মী ও বন্ধু অজিত সূত্রধরকে নিয়ে মিরপুর এলাকার বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি ইলেকট্রনিকস পণ্যের শোরুমে যান। তবে এসব শোরুমের ফ্রিজের ডিজাইন, মান এবং দাম কোনোটিই মনমতো হয় না তার।মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা হাই স্কুল মার্কেটে ওয়ালটনের শোরুম মেসার্স ইন্টারএকটিভ ইলেকট্রনিকসে যান তিনি। সেখানে ৮ সিএফটি আয়তনের ১৮ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ফ্রিজটি কিনে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন। এর পরপরই নতুন গাড়ি পাওয়ার মেসেজ যায় তাঁর মোবাইলে।

তিনি বলেন, ওয়ালটন দেশীয় ব্র্যান্ড। তাদের তৈরি পণ্যের মান ভালো। দামও সবার হাতের নাগালে। এ কারণেই ওয়ালটন শোরুমে এসেছিলাম ফ্রিজ কিনতে। কিন্তু ফ্রিজ কিনে এতবড় উপহার পাবো, তা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি খুব খুশি। সবচেয়ে খুশি আমার স্ত্রী। আমাদের ছোট্ট সংসারের জন্য প্রথম ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনেই পেলাম নতুন গাড়ি। এরচেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে!

Exit mobile version