মো. ফিরোজ। সৌদি আরব প্রবাসি। বাড়ি লক্ষীপুরের রায়পুর থানার লুদুয়া গ্রামে। সেখানে বসবাসরত তার স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ১ ছেলের জন্য নির্মাণ করেছেন নতুন দালান ঘর। সেজন্য সম্প্রতি ছুটিতে দেশে এসেছেন তিনি। নতুন ঘরের জন্য কিনেন ওয়ালটনের নতুন ফ্রিজ। কেনার পরপরই ওয়ালটনের ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধার আওতায় ফ্রিজটি তিনি রেজিস্ট্রেশন করেন। আর তাতেই ওয়ালটনের কাছ থেকে পান ১০ লাখ টাকা। এ উপলক্ষ্যে রায়পুর বাজারে ওয়ালটনের পরিবেশক ‘মীম ইলেকট্রনিক্স’ এ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিজয়ী ফিরোজের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আরিফুল আম্বিয়া। সেসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের নোয়াখালী জোনের এরিয়া ম্যানেজার মো. জাহিদ হাসান, ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম লক্ষীপুর শাখার ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. নূরে আলম, মীম ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী হোসাইনসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। সেজন্য তারা সারা দেশে চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ওই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ওয়ালটন ঘোষণা করেছে ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। রয়েছে ১ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিম্বা ফ্রিজ, টিভি ও নানান ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এসব সুযোগ মিলবে ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই মিলিয়নিয়ার সুবিধার আওতায় রায়পুর বাজারে মীম ইলেকট্রনিক্স থেকে সম্প্রতি ওয়ালটনের গ্লাস ডোর ডিজাইনের একটি ফ্রস্ট ফ্রিজ কিনেন সৌদি প্রবাসি মো. ফিরোজ। এরপর ফ্রিজের বারকোড নাম্বারসহ তার নাম ও মোবাইল নাম্বার রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ওয়ালটন সার্ভারে সংরক্ষিত করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ওয়ালটনের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার রেজিস্টার্ড মোবাইল নাম্বারে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার ম্যাসেজ পান তিনি। এর প্রতিক্রিয়ায় মো. ফিরোজ বলেন, ‘খুব আনন্দ লাগছে, বলে বুঝানো যাবে না। জীবনে এই প্রথম অপ্রত্যাশিতভাবে এতো টাকা পেলাম। তাও আবার ফ্রিজ কিনে। অবিশ্বাস্য! সৌদি আরবে দীর্ঘ ২৫ বছর সার্ভিস করেও এতো টাকা জমাতে পারিনি। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।’ ওয়ালটন ফ্রিজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবে থাকতেই বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোতে ওয়ালটন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতাম। তখনই দেখেছি, ওয়ালটন ফ্রিজের কালার ও ডিজাইন অনেক সুন্দর। আছে অসংখ্য লেটেস্ট মডেল। দামও হাতের নাগালে। তখনই ওয়ালটন ফ্রিজ কিনবো বলে ভেবে রাখি। এরপর দেশে আসলে দেখি, বাড়ীর ভিতরেই চাচা ও অন্যান্য আত্বীয়-স্বজন সবার পরিবারে ওয়ালটন ফ্রিজ। তাই, আমিও ওয়ালটন ফ্রিজ কিনলাম। জানা গেছে, ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ সুবিধার আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ইতোমধ্যে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি ক্রেতা। পাশাপাশি অসংখ্য ক্রেতা ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। এছাড়া হাজার হাজার ক্রেতা পেয়েছেন বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ ফ্রিজ, টিভি ও নানান ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফ্রি।