TechJano

কবে শুরু হবে কক্সবাজার হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ?

কক্সবাজারে শিগগিরই ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ২০২১ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে আর ‘এতে প্রায় ৫ হাজার তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে,’ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন।

৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সকালে কক্সবাজার সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

কক্সবাজারে নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কে কাজ করাসহ দেশের প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে যেমন হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, এয়ারপোর্ট রয়েছে, সে রকম আন্তর্জাতিকমানের একটি হাইটেক পার্ক বিনির্মাণের জন্য আমরা পাঁচ একর জায়গা নিয়েছি। যেখানে ১৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।’

নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের মধ্যেই এটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে কাজ শেষ হলে এখানে প্রথম পর্যায়ে প্রায় পাঁচ হাজার তরুণ-তরুণীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মসংস্থান হবে।’

‘কক্সবাজারে থাকা তরুণ-তরুণীদের এমনভাবে তৈরি করতে চায় সরকার, তারাই যেন এ হাইটেক পার্কে কাজ করে। বাইরে থেকে কাউকে যেন নিয়ে আসতে না হয়।’

পর্যটন শহর কক্সবাজারে ৩৪ এলাকায় ৭৪টি ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন স্থাপনে শুক্রবার একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ। প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট ৩৪ এলাকায় ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। পলক তার বক্তব্যে কক্সবাজার জেলার আইসিটিবিষয়ক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনাও দেন।

বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংসদ সদস্য জাফর আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বক্তব্য দেন।

এ সময় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের তিন শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version