বাজেটে যে কর ধরা হয়েছে তাতে যারা কম্পিউটার কেনার কথা ভাবছেন তাদের বেশি খরচ হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ এর বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। নতুন এই বাজেট বাস্তবায়িত হলে কম্পিউটারের মূল্য ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি(বিসিএস)।
শনিবার বিকেলে বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নেতৃবৃন্দ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মতামত ব্যক্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ্ খান জুয়েল, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মুহিবুল হাসান, এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা, স্টারটেকের অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া এবং প্রমুখ। ঘোষিত বাজেট সার্বিকভাবে প্রশংসনীয় হলেও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৮৪.৭১ এবং ৮৪.৭৩ শিরোনাম সংখ্যা/ এইচ এস কোড- এ ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য সংযোজন কর(মূসক) অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব হয়েছে অথচ গতবছর এই কর অব্যাহতি চালু ছিল। এর ফলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অন্তরায় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, কম্পিউটারে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ইউপিএস/আইপিএস অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ইউপিএস/ আইপিএস এর শুল্কহার বৃদ্ধি প্রস্তাব( বর্তমান হার ১০%, প্রস্তাবিত হার ১৫%) করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে কম্পিউটার চালানো না গেলে কম্পিউটারের পরিপূর্ণ ব্যবহারের অন্তরায় হবে যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হুমকি স্বরুপ। এছাড়াও কম্পিউটার প্রিন্টার এবং ফটোকপিয়ারে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার জন্য ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ভোল্টেজ স্টাবিলাইজারের শুল্কহার বৃদ্ধি প্রস্তাব (বর্তমান হার ১%, প্রস্তাবিত হার ১৫%) এ কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করবে। শিগগিরই বিষয়গুলো পূনর্বিবেচনা করার জন্য বিসিএস নেতৃবন্দরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।