করপোরেট

কল সেন্টারের চাকরি কেন হুমকির মুখে পড়ছে?

By Baadshah

July 10, 2018

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে হারিয়ে যেতে পারে আরও একটি কর্মক্ষেত্র। গুগলের কথোপকথন চালিয়ে নেয়ার এআই ফিচার ডুপ্লেক্সকে ব্যবহার করে কল সেন্টার চালানোর চিন্তা করছে অনেক কোম্পানি। যদি তাই হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের ফোনেই সহযোগিতা দেয়ার জন্য কোম্পানিগুলোর আর কল সেন্টারের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

বর্তমান যুগ টেলিমার্কেটিংয়ের যুগ। বেশিরভাগ কোম্পানিই তাদের নিজস্ব কল সেন্টার তৈরি না করে বিভিন্ন কল সেন্টার সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে থাকে। সে কারনেই কল সেন্টার ব্যবসা দ্রুতই বাড়ছে। বর্তমানে এ ক্ষেত্রটির বাজার ৬০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের। ২০২২ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াবে ২০০ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

যদি গুগল ডুপ্লেক্স সহজেই ফোনে কথাবার্তা চালাতে পারে, যেমনটি এবারের গুগল আই/ওতে দেখানো হয়েছে, তাইলে কল সেন্টারে মানুষের মাধ্যমে এ কাজ করানোর প্রয়োজন হবে না। একটি এআই সহজেই লাখ লাখ ফোনকল একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারবে।

এর আগে গেল মার্চে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, যন্ত্রমানবের (রোবট) ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়ায় ২০২১ সাল নাগাদ ৪৬ হাজার কল সেন্টার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।

তবে কল সেন্টার এভাবে বন্ধ হয়ে গেলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পড়বে বিপাকে। যদিও গুগলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এটি নিয়ে গবেষণা করছেন না। কিন্তু কল সেন্টার ব্যবসায়ীরা ঠিকই কিভাবে এআই কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

আরও পড়ুন:

কোথায় হচ্ছে নতুন ১৬০ আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার?