টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ২০১৭-২০১৮ কর্মসূচি গত ৩১ মে ব্যাংককে অবস্থিত ডিট্যাক সদর দপ্তরে শেষ হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে ১২টি দেশের ২৪জন তরুণ নেতানেত্রী তাদের ৪টি নতুন সেবা নোবেল পিস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লিভ টোরেস এবং টেলিনর গ্রুপের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ওয়েনচে এগেরুপ সহ অন্যান্যদের সামনে উপস্থাপন করে।
কাঁচের বোতলে ডিজিটাল বার্তা
বিজয়ী দল এজিএনসিওয়াই প্রধাণত বাংলাদেশ ও মায়নামারে এই সেবার আরো উন্নয়নে কাজ করার জন্য ১৫,০০০ মার্কিন ডলার এবং তাদের টেলিনরের মেন্টরের পরামর্শ পাবে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য #১০ অনুযায়ী টেলিনর তার সেবার মাধ্যমে অসমতা হ্রাস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রতিষ্ঠানটি বিজয়ী দল এজিএনসিওয়াই এর সেবা বিশ্বব্যাপী কর্মজীবি মানুষের জন্য অসমতা হ্রাসে সহায়ক হবে বলে মনে করে।
টিম এজিএনসিওয়াই এর মেন্টর ছিলেন গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি। গত বছরের টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে বাংলাদেশের দুই প্রতিনিধির একজন মিয়া মো খাইং এই দলের একজন মূল সদস্য। সে এখন গ্রামীণফোনে কর্মরত আছে।
জুরিদের কাছে উপস্থাপিত অন্য তিনটি সেবা হচ্ছে ম্যালেরিয়ার মহমারী ঠকাতে বিগ ডাটার ব্যবহার; অধিকারহীন শিশুদের অনলাইনে জন্মনিবন্ধন এবং চ্যাটবটের মাধ্যমে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ে কাউস্সেলিং করা।
এই উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘এই সেবা বাংলাদেশে খুবই কাজে লাগবে, কারণ এখানে যথাযথ পর্যবেক্ষনের অভাবে শ্রমিক অধিকার ভঙ্গের অনেক ঘটনা নজর এড়িয়ে যায়। গ্রামীণফোন সবসময় শ্রমিক অধিকার এবং পরিবেশ রক্ষণ বিষয়ক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আমরা এই সেবাটি নিয়ে বিশেষ আনন্দিত কারণ পূর্ণাঙ্গ রূপ নিলে এটি দেশে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বড় ভূমিকা রাখবে।’
টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ছয় মাসের যাত্রা
২০১৭ এর ডিসেম্বরে অসলোতে নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রদানের সময় টেলিনর ইযুথ ফোরামের যাত্রা শুরু। এখানে ২৪ জন প্রতিনিধিকে ৪টি দলে ভাগ করে, প্রত্যেক দলকে একটি করে সামাজিক সমস্য সমাধান করতে বলা হয়। তখন থেকে দলগুলো তাদের ধারণা তৈরি, গ্রাহক পর্যায়ে গবেষণা এবং তাদের সেবার প্রটোটাইপ তৈরিতে ব্যস্ত ছিল, যা ব্যাংককে সমাপ্ত হলো।
টেলিনর গ্রুপের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ওয়েনচে এগেরুপ বলেন, ‘আমরা টেলিনের বৈশ্বিক অবস্থান, আমাদের মান এবং আমাদের কর্মীদের দক্ষতা ব্যবহার করে সমতার পথে ফাকগুলো পূরণ করার অঙ্গীকার করেছি। প্রতিভাবান তরুণদের হাতে প্রযুক্তি তুলে দেয়ার মাধ্যমেও অসমতা হ্রাসে সাহায্য করা যায়। আমি এজিএনসিওয়াই এর সম্ভাব্যতায় বিশ্বাস করি এবং ভবিষ্যতে তারা কেমন করে তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
নোবেল পিস সেন্টারে সাথে সহযোগিতা
টেলিনর ইযুথ ফোরাম একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম যা অসমতা হ্রাসে প্রতিভাবান তারুণ্যের সাথে কাজ করার ধারণা থেকে সৃষ্ট। নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় এই ফোরাম সারা বিশ্বের তরুণ নেতানেত্রী একত্রিত করে সমাজের ক্ষমতায়ণে ডিজিটাল সমাধান তৈরি করে।
২০১৭-১৮ এর কর্মসূচিতে প্রায় ৮০০০ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ২৪জন সফল প্রতিনিধিকে বেছে নেয়া হয়
২০১৮-১৯ এর টেলিনর ইযুথ ফোরামের জন্য এখন আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.telenor.com/youthfourm
কাঁচের বোতলে ডিজিটাল বার্তা কি?
