কালবৈশাখীতে দেশের বিস্তৃর্ণ এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। আর বেশীরভাগ ঝড়-বৃষ্টির পরেই দেশের গ্রাম অঞ্চলের মানুষকে এই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। আর এর অন্যতম কারন হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
অপারেটরগুলো বলছে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের অন্তত ৬০ শতাংশ সাইটে বিদ্যুৎ ছিল না। আর ওই একই সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ সাইটের হার ছিল প্রায় ২০ শতাংশ। শুক্রবারের বিকালের হঠাৎ ঝড়েই এই লণ্ডভণ্ড অবস্থা হয়েছে।
ঝড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের ওপর। কোনো একটি সাইটে বিদ্যুৎ না থাকলে তাদের পক্ষে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাকআপ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। আর সে কারণেই দেশের বড় জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সেবার বাইরে থাকতে হয়।
বিষয়টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ সরকারের উর্ধ্বতন পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
অপারেটরগুলো জানায়, ঝড় আসার আগেই নিরাপত্তার খাতিরে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বিদ্যুতের সঞ্চালন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার ঝড়ে যদি কোথাও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি হয় তাহলে সেবা পেতে তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা বিলম্ব হয়।
গ্রামীণফোনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, শনিবার দুপুর পর্যন্ত অপারেটরটির মোট ১৩ হাজার সাইটের মধ্যে আট হাজারেই বিদ্যুৎ ছিল না। আর ব্যাকআপ চালিয়েও পরে বন্ধ হয়ে গেছে এমন সাইটের সংখ্যা তখন ছিল অন্তত দেড় হাজার।
প্রায় একই অবস্থা ছিল অন্য অপারেটরগুলোরও। তবে গ্রামের দিকেই এই প্রভাব বড় রকমের পড়লেও শহর এলাকায় ততোটা খারাপ অবস্থা দেখা যায়নি।
বিদ্যুৎ সমস্যার বাইরে ঝড়ে অনেক সময়ই টাওয়ার না ভাঙলেও টাওয়ারের এন্টিনা সরে যায় বা ঠিক জায়গায় থাকে না। এর ফলেও সেবার মান খুবই খারাপ হতে পারে – বলছিলেন একটি শীর্ষ অপারেটরের এক বড় কর্মকর্তা। আর এসবের উপরে মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কাজের সময় ফাইবার অপটিক ক্যাবল কাটা পড়া। এর কারণেও সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে বলছেন অপারেটররা।