প্রযুক্তিগত অনেক উদ্ভাবন পাল্টে দিয়েছে বিশ্ব, মানুষের জীবনযাত্রা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স তেমনই এক উদ্ভাবন। বর্তমান যুগের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের পেছনে। কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে এখাতে। গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক কে নেই! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা ছোট–খাটো স্টার্টআপগুলোকে অধিগ্রহণ করে নিচ্ছে এসব বড় জায়ান্টরা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমানদের উত্থান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।এমনই একজন টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক।তিনি বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদের বিষয়টি উত্তর কোরিয়া থেকে বিপদের চেয়ে বেশি। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনও মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে বলেও মনে করেন অনেকেই। কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা নিয়ে মাস্কের অবস্থান অন্যান্য টেক জায়ান্ট বিশেষ করে আমাজনের জেফ বেজোস, গুগলের সেগ্রেই বা ল্যারি এবং ফেসবুকের জাকারবার্গের সঙ্গে মেলে না।
মানুষের পাশাপাশি এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নত এআই ফিচার বা ভারচুয়াল সহকারী সফটওয়্যার। হোম অটোমেশনম, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালনা ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটির ক্ষেত্রে বড় বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা এখন চরমে। এর পেছনে আছে এআই।
যাঁরা ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা করছে তারা এআই যুক্ত করে তাদের সেবাকে পৃথক বলে ঘোষনা করেছে। তবে সেরা সুবিধাটি পরিকল্পনগত সম্ভাব্য অস্ত্র হিসেবে নিজের কাছে রেখে দিচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ও কৌশল নিয়ে এর আগে খুব বেশি মুখ খোলেনি মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। গুগল ও অ্যামাজনের চেয়ে পিছিয়ে থাকার কারণে অ্যাপল এ নিয়ে খুব বেশি উচ্চবাচ্য করেনি বলেই ধারণা করেন সমালোচকেরা। তাই অ্যাপলের কর্মকর্তারা সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন। অ্যাপলের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রেইগ ফেডেরিগি বলেন, সিরি শুধু ভয়েস অ্যাসিসট্যান্ট নয়। এর বুদ্ধিমত্তার ফলে পরবর্তীতে আপনি কি চাইতে পারেন তা অনুমাণ করতে পারে। অন্যান্য ভয়েস অ্যাসিসট্যান্টের চেয়ে সিরি পিছিয়ে আছে একথা এখন অনেকেই মানতে নারাজ। কয়েক কোটি ব্যবহারকারী এটি ব্যবহারক রয়েছে। অন্য কিছুর চেয়ে কনজুমার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এআইকে জনপ্রিয় করেছে অ্যাপলের সিরি। সম্প্রতি ঘোষিত আইফোন ৮ ও আইফোন টেনের নতুন চিপে এআইকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে অ্যাপল। এতে ব্যবহৃত হয়েছে এ১১ বায়োনিক চিপসেট। এতে মেশিন লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক যাতে অ্যাপ নির্মাতারা তাঁদের অ্যাপের জন্য এআই সুবিধা যুক্ত করতে পারবেন। ডিভাইসের কম্পিউটিং শক্তি দ্রুত কাজে লাগাতে পারে এটি।
আইফোন টেন, হোমপড স্মার্ট স্পিকারেও এআই ফিচার ব্যবহার করা হচ্ছে। আইফোনের ফেসআইডিতে এআই ফাংশন যুক্ত আছে।
এদিকে গত দেড় বছরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাইয়ের হাত ধরে গুগল নিজেদের ‘এআই ফার্স্ট’ কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গুগল বলছে, ধীরে ধীরে তাদের সব পণ্যেই এআই যুক্ত থাকবে। দ্রুত ইমেইল পরামর্শ, গুগল ফটোজে অ্যানিমেশন তৈরি, ইউটিউবে ভিডিও পরামর্শর মতো সুবিধা পাওয়া যাবে।
সেবা উন্নত করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও এআইয়ের দারস্থ হওয়ার কথা বলেছে। ২০১০ সালে ফটো ট্যাগ সাজেস্ট, ফেসিয়াল রিকগনিশন চালু করেছিল ফেসবুক। ২০১৪ সালে ১০ বছর পরিকল্পনায় এআইকে যুক্ত করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মনে করে, দৃষ্টি ও শোনার অনুভূতিতে মানুষকে ছাপিয়ে যাবে এআই। এতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আরও ভালো বুঝবে তারা। জাকারবার্গ তাই এ ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ করছেন। এ বছরের আগস্টে ফেসবুক তাদের অনুবাদ কাজে এআই ব্যবহার শুরু করে। প্রতিদিন ৪৫০ কোটি কাজ সারছে এআই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনার বিষয়টিকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আমাজন। স্বয়ংক্রিয় ড্রোন দিয়ে পণ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে অ্যালেক্সা সেবা দিয়ে ইকো ডিভাইস চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
যাঁরা ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা করছে তারা এআই যুক্ত করে তাদের সেবাকে পৃথক বলে ঘোষনা করেছে। তবে সেরা সুবিধাটি পরিকল্পনগত সম্ভাব্য অস্ত্র হিসেবে নিজের কাছে রেখে দিচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ও কৌশল নিয়ে এর আগে খুব বেশি মুখ খোলেনি মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। গুগল ও অ্যামাজনের চেয়ে পিছিয়ে থাকার কারণে অ্যাপল এ নিয়ে খুব বেশি উচ্চবাচ্য করেনি বলেই ধারণা করেন সমালোচকেরা। তাই অ্যাপলের কর্মকর্তারা সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন। অ্যাপলের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রেইগ ফেডেরিগি বলেন, সিরি শুধু ভয়েস অ্যাসিসট্যান্ট নয়। এর বুদ্ধিমত্তার ফলে পরবর্তীতে আপনি কি চাইতে পারেন তা অনুমাণ করতে পারে। অন্যান্য ভয়েস অ্যাসিসট্যান্টের চেয়ে সিরি পিছিয়ে আছে একথা এখন অনেকেই মানতে নারাজ। কয়েক কোটি ব্যবহারকারী এটি ব্যবহারক রয়েছে। অন্য কিছুর চেয়ে কনজুমার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এআইকে জনপ্রিয় করেছে অ্যাপলের সিরি। সম্প্রতি ঘোষিত আইফোন ৮ ও আইফোন টেনের নতুন চিপে এআইকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে অ্যাপল। এতে ব্যবহৃত হয়েছে এ১১ বায়োনিক চিপসেট। এতে মেশিন লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক যাতে অ্যাপ নির্মাতারা তাঁদের অ্যাপের জন্য এআই সুবিধা যুক্ত করতে পারবেন। ডিভাইসের কম্পিউটিং শক্তি দ্রুত কাজে লাগাতে পারে এটি।
আইফোন টেন, হোমপড স্মার্ট স্পিকারেও এআই ফিচার ব্যবহার করা হচ্ছে। আইফোনের ফেসআইডিতে এআই ফাংশন যুক্ত আছে।
এদিকে গত দেড় বছরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাইয়ের হাত ধরে গুগল নিজেদের ‘এআই ফার্স্ট’ কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গুগল বলছে, ধীরে ধীরে তাদের সব পণ্যেই এআই যুক্ত থাকবে। দ্রুত ইমেইল পরামর্শ, গুগল ফটোজে অ্যানিমেশন তৈরি, ইউটিউবে ভিডিও পরামর্শর মতো সুবিধা পাওয়া যাবে।
সেবা উন্নত করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও এআইয়ের দারস্থ হওয়ার কথা বলেছে। ২০১০ সালে ফটো ট্যাগ সাজেস্ট, ফেসিয়াল রিকগনিশন চালু করেছিল ফেসবুক। ২০১৪ সালে ১০ বছর পরিকল্পনায় এআইকে যুক্ত করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মনে করে, দৃষ্টি ও শোনার অনুভূতিতে মানুষকে ছাপিয়ে যাবে এআই। এতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আরও ভালো বুঝবে তারা। জাকারবার্গ তাই এ ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ করছেন। এ বছরের আগস্টে ফেসবুক তাদের অনুবাদ কাজে এআই ব্যবহার শুরু করে। প্রতিদিন ৪৫০ কোটি কাজ সারছে এআই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনার বিষয়টিকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আমাজন। স্বয়ংক্রিয় ড্রোন দিয়ে পণ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে অ্যালেক্সা সেবা দিয়ে ইকো ডিভাইস চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এআই প্রযুক্তিতে ঝুঁকেছে। সম্প্রতি ঘোষণা করা মেট ১০ এবং মেট ১০ প্রো নামে দুটি নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে হাইসিলিকিন কিরিন ৯৭০ চিপ যুক্ত করেছে। এ চিপসেটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সংযোজন করেছে তারা।