আপনাকে ১০০ টি রচনা পড়ে তার মধ্যে এমসিকিউ বা ছোটো প্রশ্ন করলে কতোটা নিখুঁত উত্তর দিতে পারবেন? ধরুন প্রশ্ন হল-বৃষ্টি কেন হয়? আপনি নিশ্চয়ই সঠিক উত্তর দেবনে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমানরা কি গুছিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর অনুমান করে দিতে পারবে। গবেষকেরা বলছেন, বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় মানুষকে পেছনে ফেলেছে একটি প্রোগ্রাম। প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটেছে। চীনের আলীবাবা একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল বা প্রোগ্রাম তৈরি করেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিডিং’ ও ‘কম্প্রিহেনশন’ পরীক্ষায় মানুষকে হারিয়ে দিয়েছে ওই প্রোগ্রাম। ওই পরীক্ষায় আলিবাবার ইনস্টিটিউট অব ডাটা সায়েন্স অব টেকনোলজির ডিপ নিউরাল নেটওয়ার্ক মডেলটির স্কোর ছিল ৮২ দশমিক ৪৪ আর প্রতিপক্ষ হিসেবে মানুষের স্কোর ছিল ৮২ দশমিক ৩০।
এক লাখ প্রশ্নের মধ্যে সঠিক উত্তর অনুমান করার পরীক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমান কোনো প্রোগ্রামের প্রথমবারের মতো কোনো মানুষকে হারানোর ঘটনা এটি। মাইক্রোসফটের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি প্রোগ্রাম ওই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮২ দশমিক ৬৫ স্কোর করেছে। তবে ওই ফলাফল আলীবাবার পরীক্ষার একদিন পর চূড়ান্ত করা হয়েছে।
চীনের টেনসেন্ট হোল্ডিংস ও বাইদুর পথ ধরে চীনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পথে হাঁটা শুরু করেছে। সোশাল মিডিয়া ফিড সমৃদ্ধ করা, বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ ও সেবা নির্ধারণ, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এতে। ২০৩০ সাল নাগাদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে বেইজিং এ খাতটিকে উৎসাহ দিচ্ছে।
মানুষ যেভাবে শব্দ ও বাক্য বুঝতে পারে তেমনি প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নিউরাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং কাজ করে। উইকিপিডিয়ায় থাকা ৫০০ এর বেশি আর্টিকেলের ওপর ভিত্তি করে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তৈরি করে। মেশিন লার্নিং মডেল বিশাল তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে সঠিক উত্তর বের করতে পারে কিনা তা যাচাই করা হয় এতে।
যেমন-কি কারণে বৃষ্টি হয়? এ ধরনের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র নিখুঁতভাবে দিতে পারে।
আলীবাবার নিউরাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংয়ের প্রধান গবেষক লুয়ো সি বলেন, তাঁদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রাম গ্রাহক সেবা, অনলাইন উত্তর, রোগীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কাজ করতে পারবে।