এই মুহূর্তে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫জি চুক্তি সম্পাদনকারী আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশেও ফাইভ জি সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে চায়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের সাথে গতকাল বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে হুয়াওয়ে টেকনোলজি কোম্পানির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রুস লি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে তার প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের এই আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তাঁরা ফাইভ জি প্রযুক্তির কারিগরি বিভিন্ন বিষয়াদী, বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রযুক্তির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত কারিগরি ও কৌশলগত বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেন। বাংলাদেশের প্রভূত উন্নয়ন তুলে ধরে লি বলেন, আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃষ্টনীয়। তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় সম্পদ। ৫জি’র বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহার এই প্রজন্মের কাছে অসংখ্য সুযোগ তৈরি করবে। লি উল্লেখ করেছেন, ২০ টিরও বেশি দেশে ৪০টি ক্যারিয়ার অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ৫ জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। হুয়াওয়ে ইতোমধ্যে শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ক্যারিয়ারগুলির সাথে ৫জি’র জন্য ৬০ টিরও বেশি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ের অপটিক্যাল ট্রান্সমিশন, ডেটা যোগাযোগ এবং আইটি পণ্যগুলির উত্পাদন ও সরবরাহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং ৭০০ টিরও বেশি শহর, ২২৮ ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ কোম্পানি এবং ৫৮ টি ফরচুন গ্লোবাল ১০০ কোম্পানি হুয়াওয়েকে তাদের অংশীদার হিসাবে ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য বেছে নিয়েছে।|
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করতে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনাসহ পথ নকশা তৈরি করেছি। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের জন্য ফাইভ জি প্রযুক্তি দুনিয়ায় একটি অভাবিত উদ্ভাবন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফাইভ জি প্রযুক্তি আগামী দিনে পৃথিবীতে নতুন এক সভ্যতার জন্ম দিবে। ফাইভ জি কেবল আইসিটি খাতের পরিবর্তন আনবে না; এই প্রযুক্তি পরিবর্তন করবে আমাদের শিল্পকে। নিয়ে আসবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। এই হবে গ্রামের মানুষের জন্য কৃষি ও মৎস্য উন্নয়নের জন্য ব্যবসা এবং শিল্পের প্রযুক্তি, সকলের প্রযুক্তি। তিনি বলেন, ফাইভ জি প্রযুক্তির সাথে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তির সমন্বয় হলে আগামী দিন প্রযুক্তি কোথায় পৌঁছবে তা কল্পনাও করা যায় না। বিশ্বমানসম্পন্ন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ চলায় ভূমিকা রাখার জন্য হুয়াওয়ের প্রশংসা করেন মাননীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি ২০১৮ সালে ফাইভ জি প্রযুক্তির পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করতে কারিগরি সহযোগিতার জন্য তিনি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান। একই উদ্দেশ্যে ৫জি প্রযুক্তি সরবরাহের এই আগ্রহকে সাধুবাদ জ্ঞ্যাপন করেন।
হুয়াওয়ে সম্পর্কে:
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল শেষে হুয়াওয়ে আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.৫% বেশি। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নে (আরএন্ডডি) বিনিয়োগ মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%, যার ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ফাইভজি’র ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যদের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন হুয়াওয়ের ওয়েবসাইট www.huawei.com এবং যুক্ত থাকুন আমাদের ফেইসবুক পেইজে https://www.facebook.com/HuaweiTechBD/
আরো জানতে:
http://www.linkedin.com/company/Huawei
Tweets by Huaweihttp://www.facebook.com/Huawei http://www.youtube.com/Huawei