সিম বিক্রির হিসাবে ২০১৭ সালে শীর্ষে ছিল এয়ারটেলের সঙ্গে একীভূত হওয়া রবি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রকাশিত হিসাবে দেখা গেছে, এ বছরে রবি-এয়ারটেলের ঘরে যুক্ত হয়েছে ৯০ লাখ ৭৭ হাজার কার্যকর সিম। আর তাতে ডিসেম্বরের শেষে তাদের কার্যকর সংযোগের সংখ্যা চার কোটি ২৯ লাখে উঠেছে।২০১৬ সালের নভেম্বরে কাগজপত্রে একীভূত হলেও আসলে রবি আর এয়ারটেল গত বছর থেকেই যাত্রা করে। আর এ সময় তারা অনেক অভিনব অফার দেওয়া, নামমাত্র মূল্যে ডেটা এবং ভয়েসের অফার দেওয়ার মতো নানা কাজ করেছে। যার ফল তারা হাতেনাতেই পেয়েছে। যদিও সূত্র বলছে, এর পরেও তারা কাঙ্খিত ব্যবসা পায়নি। শুরুর দিকে অনেক গ্রাহক তাদের নেটওয়ার্কে আসলেও আবার তাদের অনেকেই ফেরত চলে গেছেন। তবে বহু বছর পর গ্রামীণফোনকে পেছনে ফেলে কোনো অপারেটরের আরও বেশি সংযোগ বৃদ্ধিকে বাজারের জন্যে নতুন প্রতিযোগিতার আভাসই দিচ্ছে। ২০১৭ সালে গ্রামীণফোন আগের বছরের সঙ্গে ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার সংযোগ যোগ করেছে। ফলে ২০১৭ সালের শেষে তাদের কার্যকর সংযোগ আছে ৬ কোটি ৫৩ লাখ। বাকি দুই অপারেটর বাংলালিংক এবং টেলিটক বলতে গেলে সে অর্থে কোনো প্রতিযোগিতায়ই ছিল না। বাংলালিংক এ সময় তাদের নেটওয়ার্কে ১৪ লাখ ১০ হাজার কার্যকর সংযোগ যুক্ত করতে পেরেছে। আর সারা বছর তেমন সাফল্য না পেলেও বছরে এবারে শেষ দিকে এসে কিছুটা নড়েচড়ে বসে টেলিটক। বছর শেষে তাদের আগের বছরের সঙ্গে আট লাখ ৬১ হাজার সংযোগ যোগ হয়েছে। চার অপারেটরের সম্মিলিত হিসাব ধরলে শেষ হওয়া বছরটিতে এক কোটি ৮৭ লাখ সংযোগ বৃদ্ধির হয়েছে। এ পর্যন্ত এক বছরে এতো কার্যকর সংযোগ কখনো বাড়েনি। মোবাইল ফোন অপারেটররা ২০১৬ সাল শেষ করেছিল ১২ কোটি ৬৪ লাখ কার্যকর সংযোগ দিয়ে। আর ২০১৭ সাল শেষ করল ১৪ কোটি ৫১ লাখ কার্যকর সংযোগে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৬ সালে বায়োমিট্টিক নিবন্ধনের কারণে যেহেতু কার্যকর সংযোগ অনেক কমে গিয়েছিল তার অনেকটাই আবার ২০১৭ সালে ফেরত এসেছে। তাছাড়া এখন প্রযুক্তির প্রসারের কারণে অনেক প্রযুক্তিপণ্যও ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে সিম বিক্রি বাড়ছে। সামনের দিনে, বিশেষ করে ফোরজি চালু হওয়ার পর আরও অনেক বেশি সিমযুক্ত প্রযুক্তিপণ্য বাজারে আসবে। তখন সিমের সংখ্যা আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।-মূল প্রতিবেদন টেকশহর ডটকমে প্রকাশিত।