সকল রবি ও এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য “ফ্রি ইউটিউব প্যাক ক্যাম্পেইন” নামে নতুন ইন্টারঅ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ। কিছুদিন আগে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বেড়েছে। ক্যাম্পেইনটি এখন চলবে ৩০ এপ্রিল, ২০২২ পর্যন্ত। কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা ও কোকা-কোলা জিরো সুগার প্যাক কিনে ক্রেতারা উপভোগ করতে পারবেন ফ্রি ইউটিউব প্যাক। নানা ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে ভোক্তাদের চাঙ্গা রাখাই কোকা-কোলার লক্ষ্য। ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা ও কোকা-কোলা জিরো সুগার প্যাকের সাথে পাওয়া যাবে ফ্রি ডেটা প্যাক। এই পুরস্কার পাওয়া যাবে ২৫০ মি.লি., ৪০০ মি.লি., ৫০০ মি.লি., ৬০০ মি.লি. এবং ২০০ মি.লি.-র কাচের বোতলের সাথে। উল্লিখিত সাইজের প্রতিটি বোতলে একটি কোড দেওয়া থাকবে। ফ্রি ডেটা প্যাক পাওয়ার জন্য বোতলের লেবেলের নিচে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে ঐ নির্দিষ্ট কোডটি জমা দিতে হবে। ভোক্তারা ০৯৬১২৪১৫১৬১ নম্বরে কল করেও এই কোড জমা দিতে পারবেন। কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “কোকা-কোলা সবসময়ই তরুণদের সাথে নিয়ে নতুন ও চমৎকার কিছু করতে চায়। ভোক্তাদের ইউটিউবে ফ্রি কন্টেন্ট দেখার সুযোগ করে দিতে এই ইন্টারঅ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইনটির আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এমন একটি ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে ভোক্তারা আনন্দ পাচ্ছেন।”
কোকা-কোলা বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে চাঙ্গা করা ও সমাজে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, কিনলে ওয়াটার, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো ও থামস-আপ কারেন্ট। কোম্পানি-মালিকানাধীন বটলিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) এবং দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) স্বাধীন/স্বতন্ত্র, অনুমোদিত ফ্র্যাঞ্চাইজি বটলার আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) নিয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেম গঠিত। এই সিস্টেম বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাক্রমে ৮০০ ও ২১,০০০ এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সারা দেশের মানুষদের জন্য পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম “উইমেন বিজনেস সেন্টার” এর লক্ষ্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। “ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট” গড়ার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার কোকা-কোলা। এছাড়া, বারিন্দ অঞ্চলে পানির অপচয় রোধে আইডব্লিউইটি প্রকল্পে মিলিতভাবে কাজ করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। টিসিসিএফ-এর সহায়তায় মহামারি চলাকালীন কমিউনিটিকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫০ লক্ষ লোকের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।