বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট থেকে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ১০ উদ্যোগ (স্টার্টআপ) পেল এক কোটি টাকা। দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইনোভেশন এক্সপো সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ও উদ্ভাবন আহ্বান করা হয়। সেরা ৩০টি উদ্যোগ মেলায় প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে থেকে শীর্ষ ১০টি উদ্যোগের প্রতিটিকে ১০ লাখ করে মোট ১ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়। বুধবার রাতে প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে অনুদান তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি বলেন, ‘আইসিটিতে যে সফলতা আমরা দেখছি, তা ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।’ জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘এই মেলা করে প্রমাণ করে দিয়েছি, আমরা “মেড ইন বাংলাদেশ” ডিজিটাল যন্ত্র তৈরি করতে পারি।’ সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ, ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্সের মহাসচিব জেমস পয়জ্যান্ট, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগমসহ অনেকে।
বিসিএসের সভাপতি মো. শাহিদ-উল মুনীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবারের মেলায় জেডকেটেকোর সঙ্গে বাংলাদেশের কম্পিউটার সিটি টেকনোলজিস লিমিটেডের চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে।’
অনুদান পাওয়া ১০ উদ্যোগ
ব্ল্যাকবোর্ড (মাহমুদ হাসান, রায়হান উদ্দিন ও রানা মৃধা), কগনিশন ডট এআই (ফারজানা ইয়াসমিন, প্রাপ্তি ও গাউসুল আজম), ক্রস রোড ইনিশিয়েটিভ (লামিয়া তানজিন), ডিজিটং (তানজিম হাসান, মোহাইমিনুল ইসলাম ও জুনায়েদ তাহমিদ), এডুবট (এ এস এম আহসানুল সরকার ও এমরান হোসেন), ইলেকট্রিক স্কেটেবল অ্যান্ড ওয়াকেবল সু (মুহাইমিনুল হক ও মাহমুদুল হক), অবসর (এ বি এম ইফতেখার আহমেদ ও মাহির আশেফ), ভিশন আইটি (ফাহিম ইসলাম, রাহাত জামান ও মো. জারির হোসেন), ওয়ার্ল্ড একজাম্পল (মো. মেহেদী হাসান ও মো. মোহসিন) এবং ঝুপরি ডটকম (মো. তানভীর আলম, মাশরুর রাশিক ও কেশব কুমার)।
এ ছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে এটুআইয়ের আইল্যাবের চারটি উদ্ভাবনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। সেন্ট্রালাইজড নেবুলাইজার সিস্টেমের উদ্ভাবক আনোয়ার হোসেনের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেকও তুলে দেওয়া হয়।