২ তারিখে এনটিআরসিএ নিবন্ধনকারীদের আবেদন করার সময় শেষ হচ্ছে। এখনো যারা আবেদন করেননি তারা দ্রুত আবেদন করে ফেলুন। নেট ও মোবাইলে নানা সমস্যা হচ্ছে।অনেকেই টাকা জমা দিতে পারছেন না।গত কয়েকদিন নেটজনিত সমস্যার কারনে অনেকেই আবেদন করতেই পারেননি, যাঁরা এখনো গড়িমসি করছেন তারা চাকরির জন্য আবেদন করে ফেলুন। শুরুতে http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/ সাইটে যান। আপনার এলাকার কোন কোন স্কুল ও কলেজে ফাঁকা আছে এবং এমপিও বা নন এমপিও কোন পদে অ্যাপ্লাই করতে চান তা ঠিক করে নিন।
এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ আবেদন জমা হতে পারে। আবেদন কার্যক্রম শেষে পরবর্তী ১৫ দিন পর চূড়ান্ত প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানিয়ে দেয়া হবে। সেদিন থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে কেউ যোগদান না করলে সে পদটি শূন্য হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। সারাদেশে স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার পদের বিপরীতে এসব আবেদন জমা পড়েছে।
নিবন্ধনধারীদের স্কুল-কলেজে আবেদনের আগে গুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয় জানতে হবে
এবার নতুন নিয়ম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের শূন্য পদের সব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করলেও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করতে হচ্ছে। এতে প্রার্থীদের বিপুল অর্থ খরচ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নতুন নিয়মে ভোগান্তি বেড়েছে বলেও দাবি করছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন বিধান চালু করা হয়েছে। আগে যেখানে প্রার্থীরা শুধু নিজ উপজেলার শূন্য পদে আবেদন করতে পারতেন, নতুন নিয়মে এবার সেই বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন।
উল্লেখ্য,সারাদেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধনধারীদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী,আবেদন শুরু: ১৯/১২/২০১৮ ও আবেদন শেষ: ০২/০১/২০১৮ তারিখে।
নিবন্ধনকারীদের স্কুল কলেজে আবেদনের নিয়ম
সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৩৯ হাজার ৫৩৫টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদের জন্য ১ম থেকে ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগপ্রত্যাশীদের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদন করতে বলা হয়।
আবেদন করার সময় মনে রাখুন: ১. আবেদন করে আবেদনের কপি অবশ্যই প্রিন্ট করবেন বা যেকোনো (পিসি, ফোন, ইমেইল) উপায়ে সংরক্ষণ করবেন। ২. টাকা পাঠানোর সময় ২য় মেসেজের উত্তর আসতে দেরি হয় বা টাকা কাটেনা। কিন্তু ২০-৩০ মিনিট পর ঠিকই টাকা কাটে।বুঝতে অসুবিধা হয় কোন প্রতিষ্ঠানের টাকা কাটলো। এজন্য applicant’s section এ যান সেখানে দেখতে পাবেন কতগুলো পেমেন্ট কনফার্ম হয়েছে। ৩. আবার ২য় মেসেজ পুনরায় পাঠাতে পারেন, সেক্ষেত্রে শুধু মেসেজ চার্জ কাটবে, ১৮০ টাকা দুইবার কাটবেনা। এভাবে ফিরতি মেসেজে বলে দিবে আগের কনফার্ম সম্পর্কে। (এই পদ্ধতি না ব্যবহার করে অপেক্ষা করে applicant’s section এ চেক করবেন) ৪. ২য় মেসেজ পাঠানোর সময় নিজ মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।যেমনঃ NGI-YES-PIN-Mobile no. অবশ্যই ১১ ডিজিটের নম্বর দিবেন। ৫. এলোমেলো আবেদন করেও পরে applicant’s section এ যেয়ে ক্রম ঠিক করে নিতে পারবেন।