গরমে কি হাঁসফাঁস অবস্থা? ঘুম আসছে না? ভাবছেন কোনো মুভি দেখে সময় কাটাবেন। কিন্তু কোন মুভি দেখবেন?গরমের সময় কিছু মুভি আছে যা মন ভালো করতে বা মুড সুয়িংয়ে সাহায্য করতে পারে। এ সময়ে মন ভালো রাখতে কিছুটা ক্রিয়েটিভ আর শীতের আমেজ দেয় এমন মুভি দেখতে পারেন। উইন্টার থিমের অনেক মুভি পাবেন। গরমে যে পরস্থিতিতে নিজের কাছে কমফোর্টেবল মনে হয় তেমন ভাবে থাকুন আর উইন্টার মুভি দেখে সময় কাটাতে পারে। এসিটা একটু বাড়িয়ে দিয়ে, কিংবা ফ্যান বাড়িয়ে হাতে ঠান্ডা জুস বা শরবত নিয়ে পরিবেশটা ঠিকমতো শীতল করে বসে যান মুভি দেখতে। কয়েকটি উইন্টার থিমের মুভির তালিকা দিচ্ছি- Fargo Groundhog Day The Nightmare Before Christmas The Revenant The Day After Tomorrow Frozen Everest Happy Feet The Chronicles Of Narnia: The Lion, The Witch, And The Wardrobe Ice Age Prancer Zero Kelvin (1995)
The Shape of Water (2017)
দ্য শেপ অব ওয়াটার এবার সেরা ছবির অস্কার পেয়েছে ‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’। পুরস্কার নেওয়ার জন্য পরিচালক গিয়েরমো দেল তোরো তাঁর ছবির শিল্পীদের নিয়ে মঞ্চে আসেন। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ারেন বিটি ও ফে ডানঅ্যাওয়ে। এবার অস্কারে ১৩টি বিভাগে মনোনয়ন পায় ‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’। কিন্তু পুরস্কার জিতেছে সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, অরিজিন্যাল স্কোর ও প্রোডাকশন ডিজাইন বিভাগে । ফ্যান্টাসি ড্রামা ঘরানার আলোচিত এই ছবিটির একটি দৃশ্য এমন- এলিসা নামের এক নারী শুয়ে আছেন সোফায়, কোনো ঘরে। সোফাটিসহ ঘরের অন্যান্য আসবাব অর্ধেকটা ডুবে রয়েছে পানিতে। পলকের অপেক্ষায় বোঝা গেলো ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে সোফা, আসবাব এবং অবশ্যই এলিসা। তবে দৃশ্যের গতির চেয়ে দর্শকদের মনের গতি বেশি।ঘরটি ডুবে যাওয়ার আগেই যেন ডুবে যাবে দর্শকদের মন দেল তোরোর মতে ‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’ একটি ‘অপার্থিব’ চলচ্চিত্র। এতে করে, ফ্যান্টাসি যারা পছন্দ করেন না, তাদের হৃদয় ভাঙতে পারে। কিন্তু কেন এটাতে ফ্যান্টাসি প্রয়োজন, তার ভিন্ন এক সুন্দর-ইউনিক প্রমাণ দিয়েছেন পরিচালক। ‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’ সিনেমার গল্প ১৯৬০ সালের। তবে কাহিনীর মূল উপলব্ধি বা, সিনেমায় ব্যবহৃত ভাষা সরাসরি কখনো সমালোচনার দৃষ্টিতে ব্যবহৃত হয়েছে এসময়ের মতো করে। ‘যারা কথা বলতে পারে না, তারা বঞ্চিত-নিগৃহিত। এমন অবস্থাকে তুলনা করা হয়েছে ডাঙায় থাকা মাছের সঙ্গে। এই ধরনের মানুষ বা সৃষ্টিদের ভুল বুঝিয়ে, ভুলভাবে পরিচালিত করা হয়।’ – এই হলো মূল মন্ত্র সিনেমার। কিন্তু বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে চরম বুদ্ধিমত্তায়, কোমল ও সুন্দরভাবে। ফ্যান্টাসি ড্রামাটিতে বারবার আসবে এলিসের কথা। সে এক বাক প্রতিবন্ধি নারী। যুক্তরাষ্ট্রের অতি গোপনীয় সরকারি গবেষণাগারের ক্লিনার তিনি। এই গবেষণাগারে রাখা হয়েছে মাছ-মানুষ বৈশিষ্টের এক বিশেষ প্রাণীকে। সেই প্রাণীর সঙ্গে এলিসার প্রেম। কেন হচ্ছে এমন? সবকিছুর উত্তর রয়েছে সিনেমাতেই। সিনেমায় কথা বলা হয়েছে সমকামিতা নিয়েও। উজ্জ্বল সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যাওয়ার ছোট প্লটও রেখেছেন নির্মাতা। অস্কারের সবচেয়ে বেশি শাখায় মনোনয়ন পাওয়া ছবিটি তাদের বেশি ভালো লাগবে, যারা ম্যাজিক রিয়েলিজম পছন্দ করেন। শুধু ফ্যান্টাসি নয়, ভালোবাসা-থ্রিল ও অন্ধকারের ভাষা খুঁজে নিয়ে চলচ্চিত্রের রস নিতে পারেন দর্শকরা।
‘দ্য রেভেন্যান্ট’ এ মুভিগুলোর মধ্যে দ্য রেভারেন্টের নাম বিশেষভাগে উল্লেখযোগ্য। ৮৮তম অস্কারে ‘দ্য রেভেন্যান্ট’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।লিওনার্দোর নতুন ছবি ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এ তিনি মরতে মরতে বেঁচে গেছেন। তাঁর এই বেঁচে থাকাটাই ছবিটিকে অর্থবহ করেছে। ১৮২০-এর দশকের শিকারি (ফার ট্র্যাপার) হগ গ্লাসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। হগ একবার ভল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
তাঁর সঙ্গীরা মরণাপন্ন অবস্থায় তাঁকে রেখে চলে গিয়েছিল। সে অবস্থা থেকে একা দুর্গম জঙ্গল থেকে হামাগুড়ি দিয়ে, একটু একটু করে তিনি বেঁচে ফিরেছেন। অথচ অসহায় মৃত্যুই হতে পারত তাঁর পরিণতি।
সত্য ঘটনার ওপর নির্মিত ‘দ্য রেভেন্যান্ট’ ছবিটির শুটিং করা হয়েছে তুষারাবৃত দুর্গম জঙ্গলে। শুটিং ইউনিট নিয়ে ওই রকম দুর্গম অঞ্চলে কাজ করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন ‘বার্ডম্যান’ খ্যাত পরিচালক আলেহান্দ্রো গনজালভেজ ইনারিতু।
গল্পটার ঠিক সময় নির্ধারণ করতে গেলে, সেটা ১৮২৩-ই দাঁড়ায়। উত্তর আমেরিকার ডাকোটা তখন গভীর-বীভৎস অরণ্য। সেখানেই ক্যাপ্টেন অ্যান্ড্রু হেনরির নেতৃত্বে চোরাশিকারীর দল গিয়ে পৌঁছয় নিজেদের মতলব বুঝে নিতে। তাদের ‘গাইড’— হিউ গ্লাস। নেটিভ আমেরিকানদের ঘন ঘন আক্রমণ, অরণ্যের হিংস্র পশু, প্রবল শৈত্যের মধ্যে সে এক মরণ-বাঁচন লড়াই বটে! যে কোনও অ্যাডভেঞ্চার ক্লাসিক’কে হার মানাবে! জুল ভার্ন বা এইচ জি ওয়েল্স। তার উপর সব সত্যি ঘটনা অবলম্বনে। এখানে কল্পনা যেটুকু যা, তার অস্তিত্ব ইনিয়ারিতুর ‘ফিল্মিক’ মনে। তাঁর সিনেমা-মননে। যাই হোক, রেড ইন্ডিয়ানদের কব্জা থেকে পালানোর পর পরই ভালুকের সঙ্গে সেই ‘মর্বিড’ লড়াইয়ে পড়ে যায় হিউ। প্রায় মরতেই বসেছিল সে। আর সেই সুযোগে চোরাশিকারীদের দলেরই একজন, জন ফিৎজেরাল্ড অন্যদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে মরণাপন্ন হিউকে ফেলে পালায়। হিউয়ের ছেলেকে মেরে ফেলে সে। হিউয়ের ট্র্যাজেডি’টা এভাবে অক্ষরে অক্ষরে বোনা হয়েছে ছবিতে। দেখানো হয়েছে, কীভাবে তারও আগে ‘আমেরিকান কংকারার’রা তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছিল।
ফ্রোজেন
বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে ১০০ কোটি ডলারের সীমারেখা ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়েছে অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘ফ্রোজেন’। অস্কারে সেরা অ্যানিমেটেড মুভির পুরস্কার পাওয়া ‘ফ্রোজেন’ শুধুমাত্র উত্তর আমেরিকাতেই ব্যবসা করেছে ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। ২০১৩ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে উত্তর আমেরিকা ছাড়া সারাবিশ্বের বক্স অফিসে ‘ফ্রোজেন’-এর আয় রেকর্ড করে। ফ্যামিলি মুভি ‘ফ্রোজেন’-এ কণ্ঠ দিয়েছেন ক্রিস্টেন বেল এবং ইডিনা মেনজেলের মতো তারকারা। সিনেমাটি পরিচারনা করেছেন জেনিফার লি এবং ক্রিস বাক। সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা হিসেবে অস্কার জেতা ছাড়াও ‘লেট ইট গো’ গানটির জন্য ‘বেস্ট অরিজিনাল সং’-এর অস্কার জিতেছে ‘ফ্রোজেন’। এর মাধ্যমে গানটির রচয়িতা রবার্ট লোপেজ এবং ক্রিস্টেন অ্যান্ডারসন গড়েছেন একই বছরে এমি, গ্র্যামি, অস্কার এবং টনি অ্যাওয়ার্ডস জেতার বিরল রেকর্ড। এছাড়া এ বছর সেরা অ্যানিমেটেড মুভি হিসেবে বাফটা এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারও পেয়েছে সিনেমাটি।
আইস এজ ফক্স অ্যানিমেশন স্টুডিও এবং ব্লু স্কাই স্টুডিওর দর্শকনন্দিত সিরিজ আইস এজ। ছোট্ট সোনামণিদের কল্পনার রাজ্যে ঘোরাঘুরি করা বিভিন্ন চরিত্রই যেন ধরা দিয়েছে এখানে। ম্যানি, স্কার্ট, দিয়েগো, সিডসহ আরো চরিত্র নিয়ে জনপ্রিয় এই সিরিজ মন ভালো করে দেবে।
জীবনে অনুপ্রাণিত হওয়ার মতন ১০০ টি মুভি
রাতে ঘুম না আসলে কোন মুভি দেখবেন?