বিভিন্ন দেশে, এবং বাংলাদেশে শ্রমবাজারেও এখন ‘গিগ অর্থনীতির’ (gig economy) প্রসার ঘটেছে। গিগ ইকোনমি হচ্ছে একধরনের খণ্ডকালীন কাজের ব্যবস্থা। সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠান স্থায়ী কর্মী নিয়োগ না করে স্বল্প সময়ের জন্য কিছু বিশেষজ্ঞ কর্মী বিশেষ শর্তে নিয়োগ করে। তাঁদের কাজের ধরাবাঁধা সময় হয়তো থাকে না। কর্মী নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে দেন। সকালে হয়তো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লেকচার দিলেন, দুপুরে কিছুক্ষণ উবার অ্যাপে যুক্ত হয়ে কয়েক ঘণ্টা কাজ করলেন, সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ আউটসোর্সিংয়ের কাজ করলেন। এটাই হলো গিগ ইকোনমি। ক র্মীর প্রতিটি কাজই সমাজের সবাই সম্মানের চোখে দেখেন। কর্মী খুশি। আয় বেশি। তাঁর কাজের স্বাধীনতাও বেশি। ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, এ দেশের মানুষ তাদের প্রথম সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করছেন বেকারত্ব আর দ্বিতীয়টি যাতায়াত সমস্যা। পাঠাও, উবার প্রভৃতি রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা এই দুটি সমস্যার সমাধানে অবদান রাখছে। এখনই অন্তত এক লাখ তরুণের খণ্ডকালীন কাজ ও পর্যাপ্ত আয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে। অন্যদিকে বড় শহরগুলোতে যাতায়াতের ঝুটঝামেলা কমছে। রাইড শেয়ারিংয়ে যাতায়াতের ব্যয়ও সাধ্যের মধ্যে।