ক্যারিয়ার

গুগল অ্যাডসেন্স কিভাবে শুরু করবেন? কিভাবে আয় করবেন?

By Baadshah

August 13, 2018

আজ থেকে ১৪ বছর আগে চালু হওয়া গুগল অ্যাডসেন্স নামক ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি প্রায় শুরু থেকেই আমাদের দেশে অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য বিষয় হয়ে আসছিল। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। এখন বাংলা ভাষার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে। বিষয়টি গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষের নজর কেড়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গুগল অ্যাডসেন্স গত বছর তাদের আগের নীতিমালা পরিবর্তন করে বাংলা ভাষায় তৈরি ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন নিয়ে ভালোভাবে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যারা কাজ করছে গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে, আবার যারা বেশ আগ্রহী এ ব্যাপারে উভয়েরই আগ্রহ আগের তুলনায় আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।*লেখাটি কমপিউটার বিচিত্রার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশিত।

আমাদের দেশ থেকে যে বা যারা একটি কমপিউটার ও ইন্টারনেট লাইনের সাহায্য নিয়ে অনলাইনে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের সঙ্গে নিজেদের জড়িত রাখছেন, তাদেরই বড় একটি অংশ গুগল অ্যাডসেন্সের কাজ করছে। আজ থেকে ১৪ বছর আগে চালু হওয়া গুগল অ্যাডসেন্স নামক ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি প্রায় শুরু থেকেই আমাদের দেশের অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য বিষয় হয়ে আসছিল। গুগল অ্যাডসেন্সের যত নীতিমালা ছিল তার মধ্যে একটি নীতি আমাদের দেশের গুগল অ্যাডসেন্সে উপার্জনকারীদের জন্য বেশ প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ ছিল। তা হলো বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইট তৈরি করে গুগল অ্যাডসেন্সে কাজ করতে না পারা। এ ক্ষত্র গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দিত যে, গুগল অ্যাডসেন্স নামক ওয়েব অ্যাপ্লিকশন বাংলা ভাষা বুঝতে পারে না। তাই তারা বাংলা ভাষা সমর্থনও করে না। তবু যারা ভালোভাবে কাজ করত তারা ইংরেজি ভাষায় ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরি করে কাজ করত। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। এখন বাংলা ভাষার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে। বিষয়টি গুগল অ্যাডসেন্স কতৃপক্ষেও নজর কেড়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিত গুগল অ্যাডসেন্স গত বছর তাদের আগের নীতিমালা পরিবর্তন করে বাংলা ভাষায় তৈরি ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন নিয়ে ভালোভাবে কাজ করার অনুমতি প্রদান করেছে। এমন পরিস্থিতিতে যারা কাজ করছে গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে, আবার যারা বেশ আগ্রহী এ ব্যাপারে উভয়েরই আগ্রহ আগের তুলনায় আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে। সময়টাকে গুরুত্ব দিয়েই আমরা প্রচ্ছদ প্রতিবেদন সাজিয়েছি তাদের জন্যই, যারা এখন বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে।

গুগল অ্যাডসেন্স কেন

গুগল অ্যাডসেন্স বিশ্বজুড়ে পরিচিত একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি। এখানে অনলাইনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মার্কেটিং করা হয়। এ মার্কেটিং পদ্ধতির ওপর আস্থা রাখা যায় বেশ সহজেই। একটি ওয়েবসাইট থাকলেই গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জন করা যায়। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জন করতে গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষকে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা প্রদান করে কাজ শুরু করতে হয় না। আসলে গুগল অ্যাডসেন্স একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকশন, যা তৈরি করেছে গুগল। এ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষ পদ্ধতিতে কার্যকর থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্সের শুরুটা

আজ থেকে ১৪ বছর আগে ২০০৩ সালের ১৮ জুন গুগল অ্যাডসেন্সের কাজ শুরু হয়। প্রায় শুরুর দিক থেকেই বাংলাদেশের অনেকেই গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে আসছে। উপার্জনের টাকাও বাংলাদেশে বসেই তারা নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে পারছে। এদিকে যতই দিন যাচ্ছে গুগল অ্যাডসেন্সের নীতিমালা ততই উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। এ সময়ে এসে দেখা গেল, প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ওয়েবসাইট গুগল অ্যাডসেন্সের সঙ্গে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে।

গুগল অ্যাডসেন্সে কেমন উপার্জন করা যায়

সিপিসি কিংবা কস্ট পার ক্লিক পদ্ধতিতে গুগল অ্যাডসেন্স নির্ধারণ করে দেবে যে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি কত উপার্জন করবেন। এ পদ্ধতিতে ওয়েব পেজে রাখা বিজ্ঞাপনের ওপর ক্লিক পড়লেই নির্দিষ্ট অঙ্কের ডলার কিংবা সেন্ট আপনার অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। তবে বিজ্ঞাপনের ওপর একটি ক্লিক পড়লে আপনি কত টাকা পাবেন, তা নির্ভর করবে সিটিআর কিংবা আপনার ওয়েব পেজের ক্লিক থ্রো রেটের ওপর। এবার পুরো বিষয়টি সহজ করার জন্য একটি উদাহরণে যেতে পারি। ধরে নিন, আপনার একটি ওয়েব পেজে আপনি একটি গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেওয়ার অনুমতি পেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেনও। এবার আপনার ক্লিক থ্রো রেট ১% হওয়ায় প্রতিদিন পেজটি ৪০০ বার দেখা হয় এবং বিজ্ঞাপনের মধ্যে ৪টি ক্লিক পড়ে। এতে করে প্রতি ক্লিকে .২৫ সেন্ট করে আপনার আয় হয় ১ ডলার। এখানে আপনি প্রতি ক্লিকে .২৫ সেন্টের বেশি পাবেন তখনই যখন আপনার পেজটি প্রতিদিন ৪০০ বার দেখার সময় বিজ্ঞাপনের ওপর ৪টি ক্লিকের বেশি পড়বে কিংবা ক্লিক থ্রো রেট ১% থেকে বেড়ে যাবে। এ হিসাবে আপনি যদি দেখেন, ১০ গুণ বেড়ে গিয়ে উক্ত পেজ প্রতিদিন ৪০০০ বার দেখা হচ্ছে, তাহলে দেখার সময় বিজ্ঞাপনের ওপর ৪০টি ক্লিকের কারণে প্রতিদিন আপনার উপার্জন হবে ১০ ডলার। একইভাবে আরও ১০ গুণ বেড়ে পেজটি প্রতিদিন যদি ৪০,০০০ বার দেখা হয় এবং বিজ্ঞাপনটির ওপর ৪০০ ক্লিক পড়ে, তাহলে আপনার এক দিনের উপার্জন হবে ১০০ ডলার। সবশেষে এ বলা যায়, এ হিসাবে আপনার সিটিআর কিংবা ক্লিক থ্রো রেট ১% ঠিক রেখে যদি পেজটি দেখার সংখ্যা বেড়ে যায় এবং একই অনুপাতে বিজ্ঞাপনের ওপর ক্লিকের সংখ্যা বেড়ে যায়, তাহলে আপনার প্রতিদিনের উপার্জনও বেড়ে যাবে।

এবার আসুন, আপনাকে আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য দেওয়া যাক। আপনি মনে করছেন, আপনার ওয়েব পেজটিতে প্রতিদিন ভিজিটর ভালোই আসছে এবং আগ্রহও দেখাচ্ছে। কিন্তু পেজের মধ্যে রাখার গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপনটির ওপর ক্লিক করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাই গুগল অ্যাডসেন্সের উপার্জন করা আপনার জন্য সত্যই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। না, আপনাকে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। গুগল অ্যাডসেন্স এখানে ব্যবস্থা রেখেছে। আপনি এখন সিপিএম অর্থাত্ কস্ট পার ইমপ্রেশন পদ্ধতিতে উপার্জন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্র আপনার উক্ত ওয়েব পেজ দেখার ব্যাপারে যদি প্রতিদিন ১০০০ বার আগ্রহ দেখানো হয় অর্থাত্ ১০০০ বার পেজটি শুধু ভিজিট করা হয়, তাহলেই কোনো প্রকার বিজ্ঞাপনের ওপর ক্লিক ছাড়াই আপনি ১ ডলার উপার্জন করতে পারবেন। এভাবে মাসে আপনি ৩০ ডলার উপার্জন করতে পারবেন। আর যদি ভিজিটর ৪০,০০০ হয়, তাহলে আপনি প্রতিদিন ৪০ ডলার করে মাসে ১২০ ডলার উপার্জন করতে পারবেন।

গুগল অ্যাডসেন্সের উপার্জিত টাকা পাওয়া

গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে জমা হতে থাকবে। তা আপনি আপনার সে অ্যাকাউন্টে গেলেই দেখতে পারবেন। তবে এ উপার্জন বাংলাদেশে আপনার কাছে আসবে চেকের মাধ্যমে কিংবা আপনার বাংলাদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থের পরিমাণ যখন ১০ ডলার কিংবা তার বেশি হয়ে যাবে, তখনই আপনি তা আপনার দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন। এখানে বাড়তি ভয়ের কিছু নেই। বিষয়টি খুবই সহজ। গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে মাই অপশনে আপনার দেশের ব্যাংকের নাম ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে দিতে হবে শুধু। তারপর উইথড্রো অর্ডার করবেন। অর্ডার করার ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে।

অবশেষে বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স

প্রথমেই বলেছি, গুগল অ্যাডসেন্স শুরু করার পর থেকে যতই দিন যাচ্ছে ততই তাদের নীতিমালা উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে এখন আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জন করতে ইংরেজি ভাষায় ওয়েবসাইট তৈরিতে বাধ্য নন। বাংলা ভাষায় তৈরি করা ওয়েবসাইট নিয়েই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। এ সুযোগ আমরা পেয়েছি গত বছর। তবে হ্যাঁ, জেনে রাখবেন বাংলা ভাষায় তৈরি করা ওয়েবসাইটে আপনি শুধু বাংলাদেশিদেরই ভিজিটর হিসেবে প্রত্যাশা করতে পারবেন। সব দেশের মানুষকে ভিজিটর হিসেবে প্রত্যাশা করতে পারবেন না। বিষয়টি ঘুরিয়েও বলা যায়, যা আপনার ভালো লাগবে। আসলে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত ওয়েবসাইট তৈরিও যেমন সুবিধা আবার তুলনামূলকভাবে অন্য দেশের ভিজিটর পাওয়ার চেয়ে দেশি ভিজিটর পাওয়াটাই সহজ।

গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ করতে যা যা লাগবে

গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ করতে যা যা লাগবে তার সবকিছুই আপনার হাতের নাগালে। অর্থাত্ কোনো কিছুই নাগালের বাইরে নয়। আপনার যে ওয়েবসাইট লাগবে, তার জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং স্পেস আপনি পেয়ে যাবেন বাংলাদেশের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। আর ওয়েব পেজ ডিজাইন এবং কনটেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস (ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা) আপনি বিনা মূল্যেই সংগ্রহ করতে পারবেন। ওয়েবসাইটের ঝামেলা শেষ হলে সময়মতো গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে আপনার একটি জি-মেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে। আর কিছুই লাগবে না।

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য সাইন আপ করতে আগ্রহী হলে ভিজিট করুন—

https://www.google.com/adsense/start/#/?modal_active=none

ওয়েবসাইট চালু করা প্রসঙ্গে

আগে ভালো করে ব্যাপারটা বুঝে নিন। চট করেই কারও কথামতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন না। আপনার ওয়েবসাইটে ৫০০ আর্টিকেল, অনেক ইমেজ এবং ইউটিউব ভিডিও থাকলেও আপনার ১ গিগাবাইটের বেশি ওয়েব হোস্টিং স্পেসের প্রয়োজন হবে না। আর ১ বছরের মধ্যে ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা আসবে না। তাই ১ বছরের জন্য ১ গিগাবাইটের বেশি হোস্টিং স্পেস বাড়তি টাকা দিয়ে ভুলেও নিতে যাবেন না। পরবর্তী বছরে না হয় প্রয়োজন হলে বেশি করে ওয়েব হোস্টিং স্পেস নিয়ে নেবেন। এভাবে চিন্তা করলে আপনার ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনসহ খরচ পড়বে ২০০০ টাকা মাত্র। তবে মনে রাখবেন, পরিকল্পিত যেকোনো জিনিসই ভালো। তাই অনেকে আগেই নিশ্চিত হয়ে নেয় ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তার ওয়েবসাইটকে কোন জায়গায় নিতে হবে এবং তার জন্য কী পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন হবে। তারা একবারেই ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেয়। এতে করে একটি ভালো পর্যায়ে যাওয়ার হঠাত্ করে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অর্থাভাবে কিংবা সময়ের অভাবে আপনার সুন্দর ওয়েবসাইটটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে না। এবার আসি ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রসঙ্গে। এ কাজটি সহজ করে দিতে পারবে ওয়ার্ড প্রেসের মতো শক্তিশালী সিএমএস। সিএমএস মানেই হচ্ছে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ইন্টারনেট থেকে আপডেট ভার্সন বিনা মূল্যেই ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। এ ছাড়া গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ করা সহজ। যা নিয়ে আমরা এখনি আলোচনায় আসছি।

গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ করতে ওয়ার্ডপ্রেসের গুরুত্ব

ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টুল। এটিকে মূলত কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম টুল বলা হয়ে থাকে। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করা সহজ এবং সহজেই ওয়েব ডিজাইন করার জন্য এটির ব্যবহার টুলসটিকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। ওয়ার্ডপ্রেসের বেশ কিছু থিম রয়েছে, যা শুধু গুগল অ্যাডসেন্সকে কেন্দ্র করেই সেভাবে তৈরি করা হয়েছে। এ থিমগুলোর মধ্য থেকে পছন্দমতো একটি বিনা মূল্যেও নেওয়া যাবে। ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সংক্ষেপ এসইও, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কমানো, অযাচিত কমেন্ট বন্ধ করা, কনটেন্ট হিসেবে ইউটিউব ভিডিও রাখা, ওয়েব পেজ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে শেয়ার করা ইত্যাদি আরও অনেক কাজ গুগল অ্যাডসেন্সকে কার্যকর করতে প্রয়োজনীয়। এসবকে কেন্দ্র করে এমন কিছু ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন রয়েছে, যা সত্যই কার্যকর। তাই আবারও ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টে ওয়ার্ডপ্রেসের কথা ভেবে দেখতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেসের ইনস্টল করা

ওয়েবসাইট চালু করতে গেলে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এবং হোস্টিং স্পেস বুঝে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর একটি জিনিস পাবেন। যা পাবেন তার নাম হচ্ছে সি-প্যানেল। সি-প্যানেলে লগইন করে প্রবেশ করতে হয়। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে চাইলে সি-প্যানেলে এসেই ইনস্টল করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার সময় আপনার ওয়েবসাইটটি কী নামের তা অবশ্যই চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল হয়ে যাওয়ার পর আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম বাছাই করে কাজ শুরু করতে পারবেন। সুন্দর একটি থিম নিয়ে কাজ করলে ওয়েবসাইটটিও বেশ সুন্দর দেখাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে থিমটি যেন গুগল অ্যাডসেন্সকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়ে থাকে। আর চিন্তা নেই এমন অনেক থিমই আপনি বিনা মূল্যে পাবেন। এর একটি তালিকাও পেলে নিশ্চয়ই মন্দ হয় না।

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ থিম

নিউজপেপার থিম: বেশ জনপ্রিয় একটি থিম। থিমটি মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস। যদি অ্যাডসেন্সের জন্য থিমগুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেসই হয়। থিমটি বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে না।

গিলন: বেশ জনপ্রিয় কিন্তু সাধারণ দেখতে একটি থিম। ব্লগ, রিভিউ সাইট, নিউজপেপার ইত্যাদি নানা রকম ওয়েবসাইট তৈরিতে কাজে লাগবে। থিমটি বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে না।

ইন্টারঅ্যাকটিভ: নিঃসন্দেহে ভালো একটি থিম। ডিজাইন খুবই সুন্দর। থিমটি বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে না।

ট্রুপিক্সেল: বেশ ভালো এবং সিঙ্গেল কলাম পোস্ট প্রদর্শন করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য অ্যাডসেন্স থিম। থিমটি বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে না।

পয়েন্ট: এ অ্যাডসেন্স থিমটি বেশ সুন্দর। ইতোমধ্যে অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। উল্লেখ্য, বিষয়টি হলো থিমটি বিনা মূল্যে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।

ডাউনলোড লিঙ্ক: https://wordpress.org/themes/point/

লেখক: ফারুক আহমেদ (শিবলু)

সৌজন্য: কমপিউটার বিচিত্রা