গ্রামীণফোন দাবি করেছে তারা সবার সেরা ফোরজি সেবা নিয়ে আসছে। প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি তারা সবার সেরা ৪জি সেবা দিতে পারবে? নাকি সেবা দেওয়ার আগেই প্রচার সর্বস্ব হয়ে গেল?গ্রামীণফোন আজ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন আয়োজিত স্পেকট্রাম নিলামে প্রতি মেগাহার্জ ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হারে ৫ মেগাহার্জ বেতার তরঙ্গ কিনেছে।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন,”আমাদের প্রযুক্তি নিরপেক্ষে স্পেকট্রামের সাথে নতুন এই স্পেকট্রাম যোগ হওয়ায় গ্রামীণফোন দেশের সবচেয়ে আধুনিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেরা ৪জি সেবা প্রদানে একটি দৃঢ় অবস্থানে পৌছে গেল।”
১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড ৪জি/এলটিই বিস্তারে সবচেয়ে কার্যকরী স্পেকট্রাম এবং গ্রামীণফোনের নতুন ক্রয় তার শীর্ষস্থানকে আরো জোরদার করেছে।এর আগে প্রতিষ্ঠানটি তার সম্পূর্ণ ২জি স্পেকট্রাম এর জন্য ২জি প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা চেয়ে আবেদন করে এবং রেগুলেটরের অনুমতি লাভ করে।
গ্রামীণফোন তার নেটওয়ার্কের আধুনািকায়ন করেছে , ফলে তার গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন এইচডি ভিডিও ও লাইভ টিভি স্ট্রিমিং, ঝকঝকে ভিডিও কল এবং অতি দ্রুতগতির ডাউনলোড করতে পারবেন গ্রামীণফোনের অপ্রতিদ্বন্দী নেটওয়ার্কে। গ্রামীণফোনের আধুনিক নেটওয়ার্ক উপভোগ করার জন্য গ্রাহকদের তাদের ৩জি সিম পরিবর্তন করে ৪জি সক্ষম সিম গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
গ্রামীণফোনের সিইও বিটিআরসি, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারকে সাফল্যের সাথে স্পেকট্রাম নিলাম সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং সারাদেশে একটি মানসম্পন্ন ৪জি নেটওয়ার্ক বিস্তারে সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন,” এই নিলাম আয়োজন করে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল। আমরা আশা করবো যে সফলভাবে ৪জি বিস্তার এবং এর ব্যবসায়িক সাফল্য নিশ্চিত করতে তারা যৌক্তিক নীতি গ্রহণ করবেন।”
গ্রামীণফোন উন্নততর নেটওয়ার্ক এবং মানসম্পন্ন সেবার জন্য সব সময় পরিচিত একথা পুনারয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,”যখন আমরা ৪জি চালু করবো তখনো আমরা গ্রাহকের অভিজ্ঞতার বিষয়ে কোন ছাড় দেব না।”