৪জি চালু আট মাসের মধ্যেই গ্রামীণফোন দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে ৫০ লক্ষ ৪জি গ্রাহক অর্জন করেছে। ৪জি ডিভাইসের উচ্চমূল্য এবং ইকোসিস্টেমে এসব ডিভাইসের অভাব থাকার পরও এই সাফল্য কোম্পানির জন্য একটি বড় অর্জন।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ৪জি চালু হবার পর অপারেটররা দ্রুত কাভারেজ সম্প্রসারণ করে। ৪জি চালু হবার পর সবার হাতে উচ্চগতি ইন্টারনেট পৌছে দেবার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে দেশে ডিজিটালাইজেশনের এক নতুন যুগ সূচিত হয়েছে ।
এই উপলক্ষে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের নেটওয়ার্ক এবং সেবার উপর গ্রাহকদের আস্থা দেখে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। আমরা সব সময় সেবার উচ্চ মান বজায় রাখতে এবং গ্রাহকদের সেরাটি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করে বিশ্বখ্যাত ইন্টারনেটের সংযোগ এবং গতি পরীক্ষা ও গতি পর্যালোচনাকারী প্রতিষ্ঠান ওকলা আমাদের দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
গ্রামীণফোনই এ দেশে প্রথম মোবাইল ইন্টারনেট চালু করে এবং তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে তথ্যের জগতে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেয়। ডিজিটাল জীবনযাত্রাকে সমর্থন করতে দেশে একটি ডিজিটাল ইকো সিস্টেম গড়ে তুলতেও বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি। গ্রামীণফোন ইন্টারনেট ব্যবহারযোগ্য ডিভাইসের দাম হ্রাসে, নিজে ডিজিটাল সেবা চালুু করতে এবং নতুন নতুন সেবা চালু করতে বিভিন্ন স্টার্টআপকে সমর্থন দিতে অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে। বর্তমানে ৩ কোটি ৬০ লক্ষের বেশি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন দেশের বৃহত্তম ইন্টারনেট সেবা দানকারী। জনাব আজমান আরো বলেন, ‘৪জি নেটওয়ার্ক বিস্তারের সময় গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদানে আমরা সংখ্যার থেকে মানের উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছি।’
জেনে নিন আপনার সিম ৪জি কিনা?
গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুত মান বজায় রেখে ক্রমান্বয়ে সারাদেশে ৪জি সেবা বিস্তার করে চলেছে। গ্রাহকরা *১২১*৩২৩২# ডায়াল করে জানতে পারবেন যে তাদের সিম ৪জি উপযোগী কি না। যদি না হয় তাহলে নিকটস্থ সিম পরিবর্তন কেন্দ্র বা গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে সিম পরিবর্তন করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এছাড়াও, তাদের একটি ৪জি উপযোগী হ্যান্ডসেটও প্রয়োজন হবে।
সিম ৪জিতে রূপান্তর করলে গ্রাহকরা ৭ দিন মেয়াদী ৫ জিবি ইন্টারনেট পাবেন বিনামূল্যে।