গ্রামীণফোনের কার্যকর সংযোগের সংখ্যা সাত কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার নিজেদের কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে অপারেটরটি। উদযাপন আয়োজনের ছবিসহ নিজেদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে বাণীও দিয়েছেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি। এ জন্য তিনি গ্রাহক, খুচরা বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।’ ২২ বছর আগে আমরা বড় স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছিলাম, কিন্তু সেই স্বপ্ন সম্ভবত এত বড় ছিল না’ বলেন মাইকেল। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে তারা ছয় কোটি কার্যকর সংযোগের ল্যান্ডমার্কে পৌঁছে যায়। এর আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সর্বশেষ প্রকাশিত হিসেব অনুসারে জুনের পর আপারেটটির কার্যকর সংযোগ সংখ্যা ছিল ছয় কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার। তখন দেশের মোট কার্যকর সংযোগ দেখানো হয় ১৫ কোটি নয় লাখ ৪৫ হাজার। ১৯৯৭ সালে যাত্রার নয় বছর পরে এসে ২০০৬ সালের অক্টোবরে প্রথম এক কোটি গ্রাহক পার হয় তারা। তারপর থেকে অনেকটাই দ্রুতগতিতে এগুতে থাকে অপারেটরটি। দুই বছরের চেয়েও কম সময়ে, ২০০৮ সালের জুনে এক কোটি গ্রাহক পেয়ে যায় তারা। তিন কোটির ল্যান্ডমার্কে পৌঁছাতে খানিকটা সময় নেয় গ্রামীণফোন। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে আসে এই অর্জন।এরপর ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর তারা চার কোটি গ্রাহকের অপারেটর হয়। পাঁচ কোটির ফলক অর্জন হয় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ফোলি বলেন, ‘গত দুই দশকে গ্রামীণফোন আমাদের সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা এমন কোটি কোটি মানুষের কাছে টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ে গেছি, যারা হয়তো আমরা না থাকলে এই সেবা ব্যবহার করতে পারতেন না। আর এর ফলে তারা শিক্ষা, তথ্য, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তাসহ আরও অনেক কিছুর সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন।’ দক্ষিণ এশিয়ায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ককে তিনি সব সময়ের একটি টেকসই উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে দেখেন বলে দাবি করেন। আমরা লাভজনক, তাই টেকসই , আর আমরা আমাদের আয়ের একটা বড় অংশ দেশগুলোকে ফিরিয়ে দেই।’ নিজ দেশ কানাডার উদাহরণ টেনে গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, ‘৭ কোটি গ্রাহক মানে আমার দেশ কানাডার জনসংখ্যার দ্বিগুণ আর আমাদের কোম্পানির অভিভাবক দেশ নরওয়ের জনসংখ্যার ১৩ গুণ!! -সংখ্যার বিচারে এটি একটি অত্যাশ্চর্য বিষয়। তথ্যসূত্র: টেকশহর।