জনপ্রিয়

গ্রামীণফোন টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন করল

By Baadshah

November 09, 2021

ইন্টারনেট না থাকলেও গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংযুক্ত থাকতে পারেন, এ জন্য মেটার সঙ্গে পার্টনারশিপে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার চালু করেছে গ্রামীণফোন। টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন করে কানেকটিভিটি ও অ্যাকসেসিবিলিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করবে এবং দেশের ডিজিটাল লক্ষ্য পূরণের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।

টেক্সট-ওনলি ফেসবুকের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা তাঁদের ইন্টারনেট শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী ব্যালেন্স টপ আপ করার আগপর্যন্ত Facebook-Messenger টেক্সট-ওনলি সংস্করণে সংযুক্ত থাকতে পারবেন। এ ছাড়া মোবাইল ওয়েব ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘ডিসকভার’ গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ১৫ মেগাবাইট ডেইলি ব্যালান্সের মাধ্যমে কোনো ডেটা চার্জ ছাড়াই ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুযোগ করে দেবে। এর পাশাপাশি গ্রাহকেরা ডিসকভারের মাধ্যমে লো ব্যান্ডউইথ ফিচার, যেমন: ফ্রি ডেটা দিয়ে বার্তা ও আইকন দেখতে পারবেন। এর মাধ্যমে গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চাকরিসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ের সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকতে পারবেন।

আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মেটা ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি ডিজিটালভাবে কানেকটেড সমাজ ও অর্থনীতির পথে আমাদের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে। এর ফলে, বিশেষত আমাদের মতো দেশগুলোয় ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের জন্য ডিজিটাল সমাধানের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোন উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যতম বড় ফেসবুক ইউজার বেসের প্রয়োজনীয়তা পূরণে একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাতেই মেটা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ আজকের এই উন্মোচন।’

মেটার এশিয়া–প্যাসিফিক অঞ্চলের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অপারেটর পার্টনারশিপের ডিরেক্টর পল কিম বলেন, ‘মানুষকে কানেকটেড থাকতে সাহায্য করা এবং ইন্টারনেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্সে তাদের ধারাবাহিক অ্যাকসেস নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও উন্নত কানেকটিভিটি এবং অ্যাকসেস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ প্রোগ্রামগুলোয় অবদান রাখতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।’